বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আকস্মিক দুর্বলতার কারণ রক্তশূন্যতা। রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা চিহ্নিত না হওয়ার ফলে এর পেছনে দায়ী মূল কারণটিও অজানা রয়ে যেতে পারে। রক্তশূন্যতা হলে আয়রন বড়ি খাওয়া বা রক্ত ভরা কোনো সমাধান নয়, এর পেছনের কারণটা জানা জরুরি। হয়তো এর পেছনে পাকস্থলী বা অন্ত্রে কোনো আলসার, ক্ষত, এমনকি ক্যানসার লুকিয়ে আছে। রোগ নির্ণয়ে দেরি হয়ে গেলে চিকিৎসায় সফলতার সম্ভাবনাও কমে যেতে থাকে।
থাইরয়েডের সমস্যা ও ডায়াবেটিসের কারণে রোগী দুর্বল অনুভব করতে পারেন। যাঁদের কখনো ডায়াবেটিস ছিল না, তাঁদের ক্ষেত্রে স্রেফ দুর্বলতার মতো লক্ষণ থেকে ডায়াবেটিস ধরা পড়তে পারে। রক্তে প্রয়োজনীয় লবণ কমে গেলে কিংবা কোনো জীবাণুর সংক্রমণ হলেও দুর্বলতা হতে পারে। হালকা জ্বর, ওজন হ্রাস থাকলে দুর্বলতার কারণ হিসেবে যক্ষ্মার কথা ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। এর জন্য কোনো ওষুধও দায়ী হতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, হতাশা বা ঘুমহীনতার কারণেও কেউ কেউ দুর্বল হয়ে পারেন। অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকেও হতে পারে এই সমস্যা। কারণ যা-ই হোক, হঠাৎ শরীরে স্ট্যামিনা হারানো, দুর্বল লাগা ইত্যাদি উপসর্গে ভিটামিন খাওয়া বা স্যালাইন খাওয়াটা জরুরি নয়, জরুরি হলো কারণ অনুসন্ধান করা। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো।