208 বার দেখা হয়েছে
"ফতোয়া" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

2 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন

আজান ইসলামের অন্যতম নিদর্শন তথা ইসলামের প্রতীক। মুসলমান আজান শুনে নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আজানের সুরে মুমিন-মুসলমানের অন্তরে উজ্জীবিত হয় এক ঈমানি শক্তি। যিনি আজান দেন তাকে মুয়াজ্জিন বলে। ইসলামের দৃষ্টিতে মুয়াজ্জিনের মর্যাদা অতুলনীয়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা মুয়াজ্জিনকে অফুরন্ত নিয়ামত দান করবেন; যা অন্যরা পাবে না। মুয়াজ্জিনদের জন্য রাসূলুল্লাহ সা. ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। ঘোষণা করেছেন, অসামান্য ফজিলত ও মর্যাদার কথা। মুয়াজ্জিনের ফজিলত, সম্মান ও মর্যাদা সম্বলিত  ৫টি হাদিস নিচে উল্লেখ করা হলো-


১. হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, হজরত মুহাম্মদ সা. এরশাদ করেছেন, মুয়াজ্জিনের গুনাহ ওই পর্যন্ত মাফ করে দেয়া হয়, যে পর্যন্ত তার আজানের আওয়াজ পৌঁছে। (অর্থাৎ যদি এত দূর পর্যন্ত জায়গা তার গুনাহ দ্বারা পূর্ণ হয় তবুও তার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।) প্রত্যেক প্রাণী ও নিষ্প্রাণ যারা মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাবে, সবাই তার জন্য সাক্ষ্য দেবে। মুয়াজ্জিনের আজান শুনে যারা নামাজ পড়তে আসে, তাদের সওয়াব ২৫ গুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। এক নামাজ থেকে গত নামাজের মধ্যবর্তী সময়ের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়।

 – আবু দাউদ শরিফ: ৫১৫


 

২. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, যে স্থান পর্যন্ত মুয়াজ্জিনের আওয়াজ পৌঁছে, সে স্থান পর্যন্ত তার মাগফেরাত করে দেয়া হয়। প্রত্যেক প্রাণী এবং নিষ্প্রাণ বস্তু যারাই তার আওয়াজ শুনে সবাই তার জন্য মাগফেফরাতের দোয়া করে। 

– মুসনাদে আহমদ, তাবরানী, মাজমায়ে জাওয়ায়েদ


 

৩. হজরত বারা ইবনে আজিব রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. এরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা এবং তাঁর ফেরেশতারা প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীদের ওপর রহমত নাজিল করেন। মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি যত বেশি হয় সে অনুযায়ী তার গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। যেসব প্রাণী এবং নিষ্প্রাণ বস্তু তার আওয়াজ শুনতে পায়, সবাই তার সত্যতার সাক্ষ্য দেয়। মুয়াজ্জিন সেসব নামাজির সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করেন, যারা তার সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করেন। 

– নাসাঈ শরিফ:২৫৪


৪. হজরত মুয়াবিয়া রা. থেকে বর্ণিত, হজরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, কেয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনরা সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ ঘাড় বিশিষ্ট হবেন। 

– সহিহ মুসলিম


৫. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত; নবী করীম সা. এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বারো বছর আজান দিয়েছে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। তার জন্য প্রত্যেক আজানের বিনিময়ে ষাট নেকি লেখা হয় এবং প্রত্যেক একামতের বিনিময়ে ত্রিশ নেকি লেখা হয়। 

– মুসতাদরাকে হাকেম।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
28 এপ্রিল, 2021 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন Kuddus
0 টি উত্তর
5 ফেব্রুয়ারি, 2022 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন তানহা
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
1 টি উত্তর
0 টি উত্তর
1 টি উত্তর
23 ডিসেম্বর, 2021 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
2 টি উত্তর
21 ডিসেম্বর, 2021 "ফতোয়া" বিভাগে প্রশ্ন করেছেন অজ্ঞাতকুলশীল
1 টি উত্তর

36,270 টি প্রশ্ন

35,483 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,809 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
5 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 5 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 3488
গতকাল ভিজিট : 7488
সর্বমোট ভিজিট : 53260200
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...