চুল পড়া রোধে ক্যাস্টর অয়েল
(১) চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ হলো স্ক্যাল্পের ইনফেকশন এবং ডিসঅর্ডার। ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাস স্ক্যাল্পকে আক্রান্ত করে দিনে দিনে চুল ঝরাকে বাড়িয়ে দেয় এবং চুলের বৃদ্ধিকে হ্রাস করে। ক্যাস্টর অয়েলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপার্টিস স্ক্যাল্পের ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে যা চুল পড়া কমিয়ে আনে অনেকাংশে।
(২) শুষ্কতা বা রুক্ষতা চুল পড়া এবং চুল ভাঙ্গার আরেকটি প্রধান কারণ। ক্যাস্টর অয়েল সহজেই স্ক্যাল্পে শোষিত হয়। ফলে স্ক্যাল্পের ময়েশ্চার এবং নিউট্রিশনের ব্যালেন্স ঠিক থাকে যা চুলের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।
নতুন চুল গজাতে ক্যাস্টর অয়েল
(১) ক্যাস্টর অয়েল স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করলে এটি স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন যত বাড়বে এর অবস্থা তত উন্নত হবে এবং হেয়ার ফলিকলগুলো আরও সুস্থ্য থাকবে। ফলে তা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
(২) ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর প্রধান কাজই হলো চুলের এবং স্ক্যাল্পের বিষাক্ত পদার্থ হ্রাস করে চুলের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করা।
(৩) ক্যাস্টর অয়েল ওমেগা – ৯ ফ্যাটি আসিড (Omega-9 fatty acids) এবং এসেন্সিয়াল ভিটামিনস এ সমৃদ্ধ যা চুলকে মজবুত এবং উজ্জল করে ও পুনরায় চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ব্যবহারবিধি
(১) যেহেতু এই তেল খুব ঘন তাই এটি চুলে লাগানোর পূর্বে রেগুলার চুলের তেল (কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল) এর সাথে মিশিয়ে লাগালে সুবিধা হবে। স্ক্যাল্পে ভালো মতো ম্যাসাজ করে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর চুলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। আরও ভালো ফল চাইলে তেল লাগিয়ে পুরো রাত রেখে দিতে পারেন।