খতিয়ান প্রস্তুতের পদ্ধতি সাধারণত তিনটি ধাপে বিভক্ত করা হয়। এগুলো হলো:
১. জরিপ ও তথ্য সংগ্রহ (Survey and Data Collection):
খতিয়ান প্রস্তুতের প্রথম ধাপে নির্দিষ্ট জমির মালিকানা, সীমানা, আয়তন এবং ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ পর্যায়ে যেসব কাজ সম্পন্ন করা হয়:
-
জমির সীমানা নির্ধারণ।
-
জমির মালিক, অধিকার ও দখলদারের নাম লিপিবদ্ধ করা।
-
জমির প্রকৃতি ও ব্যবহার (চাষাবাদ, বসতবাড়ি, খাসজমি ইত্যাদি) নির্ধারণ।
-
প্রয়োজনীয় নথি, যেমন:
-
দলিল, পর্চা বা জমা রসিদ।
-
পূর্ববর্তী খতিয়ান।
প্রধান সরঞ্জাম: জরিপ মানচিত্র, মাঠপর্যায়ের তদন্ত রিপোর্ট।
২. খসড়া প্রস্তুতি (Draft Preparation):
জরিপ ও তথ্য সংগ্রহের পর পাওয়া ডেটার ভিত্তিতে একটি খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এই ধাপে:
-
জমির সীমানা এবং মালিকানার ভিত্তিতে একাধিক ভাগে তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।
-
খসড়া খতিয়ান মাঠ পর্যায়ে জমির মালিকদের দেখানো হয়।
-
মালিক পক্ষ বা দখলদারদের আপত্তি থাকলে তা নথিভুক্ত করা হয় এবং সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উল্লেখযোগ্য অংশ:
-
খতিয়ানে উল্লেখযোগ্য উপাদান: দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর, জমির পরিমাণ, মালিক/দখলদারের নাম।
৩. চূড়ান্ত খতিয়ান প্রকাশ (Final Publication):
খসড়া খতিয়ানে সংশোধনী আনার পর চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এই ধাপে:
-
সংশোধন করার পর খতিয়ান চূড়ান্ত করা হয়।
-
জমির মালিক এবং দখলদারদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
-
সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসে জমা দেওয়া হয় এবং চূড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপি প্রদান করা হয়।
সরকারি প্রক্রিয়া:
চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তুতির পর এটি ভূমি অফিসে সংরক্ষণ করা হয় এবং মালিকদের একটি কপি প্রদান করা হয়।
উপসংহার:
খতিয়ান প্রস্তুত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কার্যক্রম যা জমির মালিকানা ও অধিকার সুরক্ষায় সহায়তা করে। সঠিক জরিপ, তথ্য সংগ্রহ এবং সংশোধনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খতিয়ান তৈরি করা হয়, যা ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ এড়াতে কার্যকর।