মাসিককলাকালীন সময়ে যোনিপথে যৌন সহবাস সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। তবে অন্যান্য আবেগময় সম্পর্ক (পায়ুপথ ও যোনি বাদে ) বজায় রাখার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এড়িয়ে চলাটাই ভালো।
স্ত্রীর সাথে যৌন সংসর্গ নিযুক্ত হবার পর কোন ব্যক্তি যদি আবিষ্কার করেন যে স্ত্রীর মাসিক শুরু হয়েছে তাহলে তিনি অবিলম্বে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিবেন।
এবং উপরে উল্লিখিত আয়াত থেকে স্পষ্ট যে ("... রক্ত বন্ধ হওয়া পর্যন্ত") রক্ত বন্ধ হয়েছে একবার নারী যদি ওযূ (গোসল) নাও করে তথাপি তার সাথে তার স্বামীর যৌন সংসর্গ হালাল হয়ে যায়। কিন্তু মুজতাহিদরা বলে থাকেন যে, রজঃ হয়ে যাবার পর স্ত্রীকে গোসল বা ওযু করার সময় দেয়া উচিত। সেটা সম্ভব না হলে অন্তত স্ত্রীকে তার যোনিপ্রদেশ ভালোমতো ধুয়ে নেয়ার সুযোগ দাও সহবাস শুরু করার পূর্বে।
এছাড়াও আরো যে কয়টি সময়ে যৌন সহবাস বৈধ নয় -
* মাসিককলাকালীন সময়ে যোনিপথে যৌন সহবাস সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ।
* নিফাস পরবর্তী রক্তপাতময় সময়ে (সর্বোচ্চ ১০ দিন)
* রমযান (রামাদান) মাসে দিনের বেলায় (রাতের বেলায় সহবাস বৈধ, কুরান-হাদিস দ্বারা সিদ্ধ)
* মক্কায় তীর্থযাত্রার সময় ইহরাম বাধাকালীন সময়ে ( অন্যান্য সময়ে যৌন সংসর্গ অনুমোদিত)
যৌন সংগম বা সহবাস যেসময় মাকরুহঃ
১) ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক ঘটনার সময়, যেমন, চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্য্যগ্রহণ, , ঘুর্নিঝড় বা হারিকেন, ভূমিকম্প, সুনামি ।
২) সূর্যাস্ত থেকে মাগরিব পর্যন্ত ।
৩) সূর্যোদয় পর্যন্ত ভোর থেকে ।
৪) চান্দ্র মাসের শেষ তিন রাত।
৫) প্রতি চান্দ্র মাসের ১৫তম রজনী ।
৬) দশম জিলহজ্জ এর রজনীতে ।
৭) জুনুব এর পর পর ।
ফারাবি রাহমান, আস্ক অ্যানসারছ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী পরিচালক ৷ পেশায় তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক ৷ মানুষের উপকার করতে ভালোবাসেন ৷ তাই স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দিয়ে মানুষের উপকার করছেন ৷ আস্ক অ্যানসারছ এর প্রশাসক প্যানেলে থেকে সাথে আছেন সবসময় ৷