যেহেতু সবাই এ রোগ সমন্ধে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে এবং একে সামাজিক কলঙ্ক হিসেবেও দেখে। সুতরাং এর চিকিৎসায় ঔষধের সাথে রোগীকে মনোচিকিৎসা ও সামাজিক সমর্থন ও দিতে হবে। সামাজিক প্রত্যাখান এর জন্য রোগী সামাজিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। তাই এ রোগ ও এর খিঁচুনি সমন্ধে শুধু যুক্তির সাথে ব্যাখ্যা দিলেই সামাজিক প্রত্যাখান বন্ধ হতে হবে। রোগকে অন্যদের মতো সাধারণত স্কুলে লেখাপড়ার সুযোগ দিতে হবে। বাধা নিষেধ যতটুকু সম্ভব কম করতে হবে। পিতামাতা ও অন্যান্য কর্তৃক অতি সুরক্ষিত মনোভা হিসেবে রোগীর ওপর কড়া নজর রাখা ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। তবে ফিট বা খিঁচুনি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সাইকেল চালানো, পানিতে সাঁতরানো, একা একা শহরে বড় রাস্তায় হাঁটাচলা, কোনো যন্ত্রপাতি বা কারখানায় কাজ করা, গাড়ি চালানো ইত্যাদি করা ঠিক হবে না। ফিট বা খিঁচুনির সময় রোগীকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করে মুখের ভেতর শক্ত জিনিস হাতের কাছে বা পাওয়া যাবে অথবা কাপড় পেঁচিয়ে ড়ির মতো শক্ত করে দুই চোয়ালের মাঝে ঢুকাতে হবে, যাতে দাঁত দিয়ে জিহ্বা না কাটে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাঘাত হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে এবং শরীরের কাপড়চোপড় আলগা করে দিতে হবে।মৃগী রোগের অত্যাধুনিক ঔষধ বেরিয়েছে। দীঘৃ দিন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ নিয়মিত সেবন করতে হয়। সর্বশেষ খিঁচুনি থেকে চার বছর পর্যন্ত ঔষধ নিয়মিত খাওয়া, অবস্থায় একনাগাড়ে চার বছর খিঁচুনি বা ফিট না হলে তখন ঔষধ ধীরে ধীরে কমিয়ে এন আরো তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ঔষধ শেষ করে আনতে হবে।