হযরত ঈবরাহীম (আঃ) কে যখন আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ অনেক জায়গা নিয়ে আগুন জ্বালালো , তখন একটা নতুন সমস্যা দেখা দিল।
আগুনের উত্তাপ এতই বেশি ছিল যে তার
কাছে পৌছানো যাচ্ছিল না। তাই একটা চরক গাছ বানানো হল যার মাধ্যমে ইবরাহীম (আঃ) কে আগুনে ছুড়ে নিক্ষেপ
করা যায়। কিন্তু রহমতের ফেরেশতারা চরকের গাছের একপাশে ভর করে থাকায় চরক গাছ ঘুরানো যাচ্ছিল না। তখন শয়তান নমরুদ কে কুবুদ্ধি দিল কিছু নগ্ন বা (বেশ্যা) মেয়ে এনে চরকের গাছের চারপাশে বসিয়ে দিতে, কারন এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না। আর নমরুদ তাই করল এবং ফেরেশতারা চলে গেল, ইবরাহীম (আঃ) কে আগুনে নিক্ষেপ করতে নমরুদ সক্ষম হল । আর ঐ মেয়ে গুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল এবং তাদের মাথায় তীলক ও টিপ পড়িয়ে দেওয়া হল, যাতে সহজেই তাদের চেনা যায় । এটাই টিপ পড়ার ইতিহাস।
বেশ্যাদের পরিচয় বোঝানোর জন্য
যে টিপ নমরুদ ব্যবহার করেছিল, তা আজ আমাদের মুসলিম মেয়েদের ফ্যাশন !! টিপ পড়াতো হিন্দুদের ধর্মীয় রীতি নীতি, এটা অস্বীকার করার পথ নেই ।
হাদিসে এসেছে
ﻣﻦ
ﺗﺸﺒﻪ ﺑﻘﻮﻡ ﻓﻬﻮ ﻣﻨﻬﻢ
এ টিপ যারা পড়বে তারা ঐ সম্প্রদায় অনুস্বরণ করলো সে তাদের দলভূক্ত হবে। এই হাদিসটি কি যথেষ্ঠ নয় ? আমরা আমাদের মা বোনদের টিপ পড়তে নিষেধ করব! আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়াত দান করুন।