এই প্রশ্নের উত্তরে সর্বপ্রথম আমাদের জানতে হবে "রূহ" অর্থ কি? ইহুদীদের শিখিয়ে দেয়ার প্রেক্ষিতে মুশরিকরা যে তিনটি প্রশ্ন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে করেছিল, যার উত্তরে সম্পূর্ণ সূরা কাহাফ নাজিল হয়, সেই তিনটি প্রশ্নের একটি প্রশ্ন ছিল - "রূহ" কি? যদিও রূহ সম্পর্কিত আয়াতটি সূরা বনী ইসরাইলের অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।
কাফিরদের প্রশ্ন ছিল - "রূহ" কি? এর উত্তর স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা নিজেই দিয়েছেন৷ তিনি আয়াত নাজিল করলেন-
"হে নবী! আপনি বলুন, "রূহ" হচ্ছে আল্লাহ তা'য়ালার একটি আদেশ মাত্র"।
অত্র আয়াত দ্বারা আমরা বুঝতে পারি, রূহ হচ্ছে মহান আল্লাহ তা'য়ালার একটি আদেশ মাত্র। অন্য কিছু নয়। অর্থাৎ এটা কোন বস্তু নয়, বরং মহান আল্লাহ তা'য়ালা একটি নির্দেশ।
অর্থাৎ মহান আল্লাহ তা'য়ালা যখন কোন প্রাণীকে জীবন দান করতে চান তখন তিনি তাকে নির্দেশ দেন জীবনপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য। তিনি বলেন- তুমি জীবিত হও। তখন আল্লাহ তা'য়ালার নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে তা জীবন লাভ করে। এটাই হচ্ছে "রূহ"। আল্লাহ্ পাক যতদিন চান ততদিন সে জীবিত থাকে।
এখন আসি আপনার প্রশ্নের বিষয়ে। "রূহুল্লাহ্" অর্থ "আল্লাহ তা'য়ালার রূহ"। রূহ শব্দের কুরআনিক অর্থসহ এর অর্থ করলে তখন এর অর্থ হয়- আল্লাহ্ তা'য়ালার নির্দেশ৷ এটা হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর উপাধী। হজরত ঈসা আলাইহিস সালামকে বলা হয় " ঈসা রূহুল্লাহ্। অর্থাৎ আল্লাহ্ তা'য়ালার রূহ হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম। কুরআনিক অর্থ হিসেবে এর অর্থ - "আল্লাহ তা'য়ালার নির্দেশ ঈসা।"
এখন প্রশ্ন হলো- হজরত ঈসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তা'য়ালার রূহ বা নির্দেশ বলা হয় কেন?
এর উত্তরে বলা যায় - যেহেতু ঈসা আলাইহিসসালাম এর পিতা ছিল না, তিনি পিতা বিহীন মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার নির্দেশে মাতা হজরত মারইয়াম আলাইহাস সালাম এর গর্ভে আসেন, এ কারণে হজরত ঈসা আলাইহিস সালামকে "রূহুল্লাহ্" তথা "আল্লাহ্ তা'য়ালার রূহ্" বলা হয়৷