বর্তমান যুগ হলাে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির যুগ । আর এই তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিকে বিকশিত করার অন্যতম বাহন হলাে । কম্পিউটার । কম্পিউটার পরিচালিত হয় বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার ইনস্টলের মাধ্যমে । আমরা বর্তমানে যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি তা মাইক্রোসফট কোম্পানির উইন্ডােজ অপারেটিং সিস্টেম । এই অপারেটিং সিস্টেমকে তার পূর্ণমাত্রায় কাজ করার ক্ষমতা দান করার জন্য হালনাগাদ বা আপডেট করতে হয় । কম্পিউটারকে সচল ও গতিশীল রাখার জন্য মাঝে মাঝে রেজিস্ট্রি ক্লিনআপ । সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় । কারণ প্রত্যেকবার কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় বেশকিছু টেম্পােরারি ফাইল তৈরি হয় । অনেক দিন এ ফাইলগুলাে না মুছে দিলে হার্ডডিস্কের অনেকটা জায়গা দখল করে রাখে এবং কম্পিউটারের গতিকে ধীর করে দেয় । এজন্য এ সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়ে টেম্পােরারি ফাইলগুলাে মুছে । দেওয়া হয় । এতে হার্ডডিস্কের বেশ খানিকটা জায়গা খালি হবে এবং কম্পিউটারের কাজ করার গতিও বেড়ে যাবে । এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করলে ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্যাশ মেমােরিতে অনেক কুকিজ ও টেম্পােরারি ইন্টারনেট ফাইল জমা হয় । ফলে আইসিটি যন্ত্রটি ক্রমান্বয়ে ধীর হয়ে যায় । তাই কম্পিউটারের কাজ করার গতি বজায় রাখার জন্য প্রায় সব ব্যবহারকারী ডিস্ক ক্লিনআপ ও ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টার ব্যবহার করে থাকে । এ প্রােগ্রামগুলাে সাধারণত অপারেটিং সিস্টেমের সাথে যুক্ত থাকে । এ সফটওয়্যার দুটো হার্ডডিস্কের জায়গা খালি করে এবং ফাইলগুলাে এমনভাবে সাজায় যাতে কম্পিউটার গতি বজায় রেখে কাজ করতে পারে । সুতরাং বলা যায় যে , কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণে সফটওয়্যারের গুরুত্ব অনেক ।