অন্যের হকের যেই গুণাহ্, তাকে হুকুকুল ইবাদ বলা হয়। যেমনঃ- কারও জমিজমা, টাকাপয়সা আত্মসাৎ করা, কারও উপর অপবাদ দেয়া, অন্যায়ভাবে মারা, শাস্তি দেয়া, কষ্ট দেয়া, অন্যের হক নষ্ট করা ইত্যাদি। এসব গুণাহ্ শুধুমাত্র তওবার দ্বারা মাফ হয় না। এগুলোর ক্ষমাপ্রাপ্তির জন্য প্রয়োজন হলো আগে হকদারের হক আদায় করা, তার থেকে মাফ করিয়ে নেয়া। এরপর আল্লাহ্ তা'য়ালার কাছে তওবা করলে মাফ পাওয়ার আশা করা যায়।
হুকুকুল ইবাদ এর গুণাহ্ ব্যতীত অন্য যে সকল গুণাহ্ রয়েছে যেমন - নামাজ না পড়া, রোযা না রাখা, হজ্জ না করা ইত্যাদি এসব গুণাহকে হুকুকুল্লাহ্ বলা হয়। এসব গুণাহ্ খাঁটি তওবার দ্বারা মাফ হয়ে যেতে পারে। এমনকি কুফর ও শিরক এর গুণাহ্ ও সঠিক তওবার দ্বারা মাফ হয়ে যেতে পারে।
সুতরাং প্রশ্নোল্লেখি অবস্থায় অন্যের হক আদায় না করা থাকলে, অন্য কোনো গুণাহ্ এর জন্য তওবা করলে তা কবুল হওয়ার আশা করা যায়, যদি সেই অন্য গুণাহ্ টা হুকুকুল্লাহ্ হয়। আর অন্য সেই গুণাহ্ টা যদি হুকুকুল ইবাদই হয়, তথা বান্দার হক সংক্রান্ত হয়, তবে ওই গুণাহের জন্য করা তওবা কবুল হবে না। এর জন্য আগে বান্দার হক আদায় করে তার থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে।