লিম্ফোমা হচ্ছে রক্তের এক ধরণের ক্যান্সার, যেটা মূলত লিম্ফনোড বা লসিকা গ্রন্থিগুলোকে আক্রান্ত করে। রক্তের বিভিন্ন কোষীয় উপাদানের একটি হলো লিম্ফোসাইট, যা মূলত এক প্রকার শ্বেতরক্তকণিকা। এর প্রধান কাজ হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ করা। বিভিন্ন কারণে এই লিম্ফোসাইটের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হলে দেখা দেয় লিম্ফোমা নামক ক্যান্সার।
বিভিন্ন কারণে লিম্ফোমা হতে পারে। যেমন:
১) রেডিয়েশন এর সংস্পর্শে থাকলে লিম্ফোমা হতে পারে।
২) বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল, যেমন: কীটনাশক, হেয়ার ডাই ইত্যাদির কারনে লিম্ফোমা হতে পারে।
৩) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে, যেমন: এইডস এর মত সংক্রামক রোগের কারণে, অঙ্গ প্রতিস্থাপন জনিত কারণে ইত্যাদি।
৪) বংশগত কারণেও হতে পারে। যদি পরিবারে কারও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হওয়ার ইতিহাস থাকে, সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্যদের লিম্ফোমা হতে পারে।
৫) বিভিন্ন ভাইরাস যেমন: HTLV, HIV, EB ইত্যাদির কারনেও লিম্ফোমা হতে পারে।
এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে এসিড জাতীয় কোন কিছুর সংস্পর্শে থাকলেও লিম্ফোমা হতে পারে।
লিম্ফোমার প্রতিকার : লিম্ফোমার মূল চিকিৎসা হচ্ছে কেমোথেরাপি। তবে স্টেজিংয়ের ওপর নির্ভর করে এবং আক্রান্ত লিম্ফনোডের সাইজ ও অবস্থান বিবেচনা করে রেডিওথেরাপিও দেওয়া হয়। কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপিতে ভালো না হলে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়।