সাধারণত নারীদের জরায়ুর অভ্যন্তর গাত্রে তিনটি প্রাচীর থাকে ৷ তিনটির মাঝখানের প্রাচীর বা স্তরটির নাম এন্ডোমেট্রিয়াম ৷ প্রতি মাসে মাসিক এর সময় এই স্তরটি নষ্ট হয়ে রক্তের সাথে যোনি পথে বের হয়ে আসে ৷ আবার পরবর্তী মাসিকের আগেই এই স্তর সুগঠিত হয় ৷ এভাবে প্রতি মাসেই এন্ডোমেট্রিয়াম নষ্ট হয় এবং গঠিত হয় ৷ এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ৷ কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে এই এন্ডোমেট্রিয়াম টিস্যু জরায়ুর গাত্রে তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তলপেটের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয় ৷ যেমন জরায়ুর বাইরের গাত্রে নাভীতে, মূত্রথলিতে, মলাশয়ে, এমনকি নাকের ভিতরে ও হতে পারে ৷ যার ফলে প্রতি মাসিকের সময় পেটে ভীষন ব্যথা ও অত্যধিক রক্তপাত হয়ে থাকে ৷ এই ঘটনাটিকে এন্ডোমেট্রিওসিস বলে ৷
লক্ষণঃ
মাসিকের গোলমাল,
মাসিকের সময় প্রচুর রক্তপাত,
তলপেটে ভীষন ব্যথা,
সহবাসের সময় ব্যথা পাওয়া,
কোমরে বা মাজায় ব্যথা,
আংশিক বন্ধাত্ব,
মাসিকের সময় মল ত্যাগে কষ্ট,
মাসিকের সময় প্রস্রাব বা পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া,
মাসিকের সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়া ৷
রোগ নির্ণয়ঃ
ট্রান্সভেজিনাল আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান, এমআরআই, ল্যাপারোস্কপি ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় ৷
চিকিৎসাঃ
ব্যথা দুর করার জন্য NSAID দেওয়া হয় ৷ এছাড়া মিশ্রিত OCP (ওরাল কনট্রাসেপটিক পিল ) কিংবা প্রোজেস্টেরণ পিল দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে ৷ রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে ৷