নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় প্রভাবকারী একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হচ্ছে মাসিক বা পিরিয়ড । ডিম্বাশয়, ডিম্ব নালী বা ফেলোপিয়ান টিউব, জরায়ু, এন্ডোমেট্রিয়াম এবং যোনির সমন্বয়ে তৈরী প্রজনন অঙ্গ নারীদের তলপেটে অবস্থিত।
নারীদের মাসিক চক্রের সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনে আছে ইসট্রোজেন
এবং প্রোজেস্টেরণ যা শরীরকে গর্ভধারণের জন্য তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত, প্রতি ২৮ দিন পর পর ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ হয়, যা জরায়ুর
দুই পাশের ডিম্বনালী (Fallopian tube) দিয়ে জরায়ুর মধ্যে প্রবেশ করে এবং নিষিক্ত হওয়ার জন্য পুরুষের শুক্রাণুর অপেক্ষা করে ৷ এই অপেক্ষা সর্বোচ্চ তিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় ৷ তিন দিন পর এই ডিম্বাণু নষ্ট হয়ে যায় ৷ ফলে গর্ভধারণ না করার কারনে, অনিষিক্ত ডিম্বাণু
এবং জরায়ুর আবরণ (এন্ডোমেট্রিয়াম), মিউকাস, রক্ত একত্রে প্রত্যেক মাসে শরীর থেকে নারীদের যোনী পথে বের হয়ে যায়। একেই মাসিক স্রাব বা রজ:স্রাব (Menstruation) বলা হয়।
মাসিক কখন শুরু এবং শেষ হয় ?
নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয় সাধারণত: ১০-১৬ বছরের মাঝামাঝি বয়সে ৷ কোন কোন মেয়েদের ৯ বছর বয়সে, আবার কারো কারো ১৬ বা তার অধিক বয়সে প্রথম মাসিক হয় ৷ তবে বেশিরভাগ মেয়েদেরই ১২ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয় ৷ যখন রজ:নিবৃত্তি বা মেনোপজ হয় তখন মহিলাদের এই
মাসিক স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত ৫০ বছর বা তার অধিক বয়সে নারীদের মাসিক স্রাব বন্ধ হয়ে যায়।