ছোট বাচ্চাদের বশ করতে যা করবেনঃ-
১. তিরস্কার বা সারাক্ষণ আদেশ-নির্দেশ করতে থাকলে বাচ্চারা ভাবতে পারে যে আপনি বোধ হয় তার প্রতিপক্ষ। তাই বাচ্চাদেরকে তিরস্কার থেকে বিরত থাকুন। কারণ আপনি বাচ্চাদের বন্ধু-এই অনুভূতিটি তাদের বিকাশের জন্যেই জরুরি। আর বড়দের মতো ছোটদের জন্যেও এই ব্যাখ্যাটা জরুরি যে সে কেন কাজটি করবে।
২. বাচ্চাদেরকে বুঝতে দিন যে আপনি তাদেরকে বোঝেন: বাচ্চারা যত বুঝবে যে আপনি তাদেরকে বোঝেন তত তারা আপনার অনুগত হবে। আপনার কথা শুনবে। অতএব তাদেরকে শোনানোর জন্যে আগে তাদের কথা শুনুন। তাদের কথায় মনোযোগ দিন। তাদেরকে বুঝতে দিন যে আপনি তাদেরকে বোঝেন।
৩. বাচ্চাদের প্রশ্নের জবাব দিন: আপনি যদি বাচ্চাদের প্রশ্নের জবাব না দেন, জবাবের জন্যে তারা হয়তো খুঁজে নেবে এমন কাউকে বা এমন কিছুকে যা আপনার জন্য বিরক্তিকর বা অপছন্দনীয় হতে পারে।
৪. বাচ্চাদের আত্মমর্যাদাবোধকে নষ্ট করবেন না: শিশুদেরও যে আত্মমর্যাদাবোধ আছে এটা আমরা অনেক সময় ভুলে যাই। আমরা হয়তো অন্যের সামনে তাকে বকাবকি করি, ভুল ধরিয়ে দেই বা অপ্রস্তুত করি। এ ধরনের আচরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
৫. বাচ্চাদেরকে তা-ই বলুন যা আপনি নিজেও পালন করেন: বড়রা কী বলছে সেটা নয়, কী করছে সেটাই শিশুরা অনুকরণ করে। কাজেই বাচ্চাদেরকে এমন কিছু করতে বলবেন না যা আপনি নিজেই করেন না।
৬. ভুল করলে মাশুল পেতে দিন, প্রয়োজনে শাস্তি দিন: বাচ্চারা যদি বোঝে যে আপনার কথা না শুনেও সে পার পেয়ে যাচ্ছে, তাহলে সে অবাধ্য হতে উৎসাহ পাবে। তাই সারাক্ষণ চিৎকার চেঁচামেচি না করে শান্ত থাকুন, কিছু শাস্তির ব্যবস্থা করুন। এ ব্যাপারে দৃঢ় হতে ভয় পাবেন না। কারণ বাচ্চারা যদি বুঝতে পারে যে এই অবাধ্য হবার জন্যে তাকে শাস্তি পেতে হবে, তাহলে সে সাবধান হবে।
৭. একই কথা বার বার বলবেন না: একই কথা বার বার বললে তার গুরুত্ব কমে যায়। এর চেয়ে ১ বার বলুন। তাকে বুঝতে দিন না শোনার শাস্তি।
আশা করা যায় উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে বাচ্চাদের বশ করতে পারবেন।