সূরা বাকারার ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য হাদিস হল:
-
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা বাকারা পাঠ করবে, তার ঘর থেকে শয়তান দূরে থাকবে।” (বুখারি, হাদিস: ৭৫০)
-
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা বাকারা পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হবে।” (বুখারি, হাদিস: ৪৬০৪)
-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (আয়াতুল কুরসি) পাঠ করবে, তার জন্য যথেষ্ট হবে।” (বুখারি, হাদিস: ৫০০০)
এই হাদিসগুলো থেকে বুঝা যায় যে, সূরা বাকারা পাঠের ফজিলত অনেক। এটি পাঠ করলে ঘর থেকে শয়তান দূরে থাকে, জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হয় এবং আয়াতুল কুরসি পাঠের ফলে কিয়ামতের দিনের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও, সূরা বাকারা পাঠের ফলে নিম্নলিখিত ফজিলতগুলো রয়েছে বলে মনে করা হয়:
-
এটি পাঠ করলে ঈমান ও তাওহিদের উপর দৃঢ়তা পাওয়া যায়।
-
এটি পাঠ করলে পরকালের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়।
-
এটি পাঠ করলে মানবিক গুণাবলী ও দয়া-মায়া বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং, সূরা বাকারা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ সূরা। এটি প্রতিদিন পাঠ করা উচিত।
এখানে সূরা বাকারার কিছু নির্দিষ্ট ফজিলত সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
-
শয়তান থেকে মুক্তি: সূরা বাকারার প্রথম আয়াত থেকে শেষ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করলে শয়তান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ,এই সূরাতে শয়তান ও তার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
-
জান্নাতের ঘর নির্মাণ: সূরা বাকারার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করলে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। কারণ, এই সূরাতে জান্নাতের বর্ণনা ও এর জন্য কী কী কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
-
আয়াতুল কুরসি: সূরা বাকারার ২৫৫তম আয়াতটিকে আয়াতুল কুরসি বলা হয়। এই আয়াতটি পাঠ করলে কিয়ামতের দিনের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ, এই আয়াতে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও ক্ষমতার বর্ণনা করা হয়েছে।
-
ইমান ও তাওহিদের উপর দৃঢ়তা: সূরা বাকারায় ইমান ও তাওহিদের উপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সূরাটি পাঠ করলে ইমান ও তাওহিদের উপর দৃঢ়তা পাওয়া যায়।
-
পরকালের জন্য প্রস্তুতি: সূরা বাকারাতে পরকালের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরাটি পাঠ করলে পরকালের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়।
-
মানবিক গুণাবলী বৃদ্ধি: সূরা বাকারাতে মানবিক গুণাবলী বৃদ্ধির জন্য অনেক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সূরাটি পাঠ করলে মানবিক গুণাবলী বৃদ্ধি পায়।