আল্লাহ তা'য়ালার অনেকগুলো গুণাবলী রয়েছে। যেমন- "আদি হওয়া", অর্থাৎ- সব সময় হওয়া এবং সব সময় থাকা। "জ্ঞানী হওয়া" অর্থাৎ- সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত হওয়া। "ক্ষমতাবান" অর্থাৎ যাবতীয় বিষয়ের উপর তার শক্তি ও ক্ষমতা থাকা। "হাইয়্যুন" অর্থাৎ চিরকাল জীবিত থাকা প্রভৃতি। সুতরাং যেসব নাম এসব গুণের মধ্য থেকে কোন গুণ প্রকাশ করে, তাকেই "সিফতী নাম বা গুণবাচক নাম" বলা হয়।
তার উদাহরণ এভাবে দেওয়া যায় - যেমন এক লোকের নাম জামিল, যা শুধু তার সত্তাগত হিসেবে চেনার জন্য রাখা হয়েছে। এতে তার কোন গুণের লক্ষ্য নেই। কিন্তু লোকটি জ্ঞানও অর্জন করেছে, লেখতেও জানে, কুরআন মাজিদও মুখস্ত আছে। আর এসব গুণাবলীর আলোকে তাকে জ্ঞানী, আলেম, মুনশি এবং হাফেজও বলা হয়। সুতরাং "জামীল" তার সত্তাগত নাম, আর আলেম, মুনশি, হাফেজ হলো তার গুণবাচক নাম। কেননা তাঁর "শিক্ষাগুণ" কিংবা "লেখাগুণ" অথবা কুরআন মুখস্থ করার আলোকে এসব নাম রাখা হয়েছে।
এমনিভাবে "আল্লাহ" শব্দটি হলো আল্লাহ্ তায়ালার সত্তাগত নাম কিংবা "ইসমে যাত"; আর " খালিক" (স্রষ্টা), "কাদির" (শক্তিমান), "আলিম" (সর্ববিজ্ঞ), "মালিক" (সর্বাধিকারী) প্রভৃতি হলো আল্লাহ্ তা'য়ালার সিফাতী বা গুণবাচক নাম।