বর্তমানে ই-মেইল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাদের প্রতিদিনই অসংখ্য চিঠি পাঠাতে বা রিসিভ করতে হয়। আর এই কাজটি করতে হয় ইমেলের মাধ্যমে৷ ইমেলের পূর্ণরুপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক মেইল যার অর্থ দ্রুত গতির মেইল বা চিঠি ৷
কাজেই ইমেলের কাজ হচ্ছে পত্র বা চিঠি আদান প্রদান ৷
প্রতিদিন ইমেইল ব্যবহারের পিছনে যথেষ্ট কারন রয়েছে৷ যেমনঃ
দ্রুততাঃ ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে সময়ের স্বল্পতাই কিন্তু ইমেইলকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এখন সেকেন্ডেই কিন্তু বাসার পাশের মানুষ বা পৃথিবীর অপর প্রান্তের মানুষের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়।
সুবিধাঃ কিছু ক্ষেত্রে ফোন কলের থেকেও ইমেইল বেশি কাজে দেয়। যেমনঃ একজন ব্যক্তিকে আপনি ফোন নাম্বার দিবেন, এক্ষেত্রে ফোন কলের মাধ্যমে দিতে হলে আগে নাম্বার কাগজে লিখে এরপর ফোনে বলতে হবে। কিন্তু আপনি একটা ইমেইলের মাধ্যমেই কাজটি সহজেই সেড়ে ফেলতে পারেন।
সংযুক্তিঃ ইমেইলে কোন সংযুক্তি পাঠানো খুবই সহজ এবং সিম্পল। চাকরির আবেদনে সিভি পাঠাতে হবে? ইমেইলেই সংযক্ত করে দিন! ব্যাস, খেলা শেষ ৷
তথ্য ভান্ডারঃ ইমেইলে কিন্তু আপনার প্রতিটি কনভারসেশনের তথ্য সংরক্ষন করে। এ কারনে ইমেইল প্রিন্ট করা খুবই সহজ হয়। উপরন্তু, ইমেইল প্রোভাইডারদের বিশাল স্টোরেজে আপনি অনায়েসে তথ্য রেখে দিতে পারেন।
অফুরন্ত জায়গাঃ ফোনে এসএমস পাঠাতে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ক্যারেক্টারের মধ্যে দিতে হয়। ইমেইলে সেই বাধাধরা নেই, মানে যত ইচ্ছা লিখে যান, বলার কেউ নেই। যত সময় নিয়েই আপনি লিখুন এবং রিভাইজ করুন কোন সমস্যা নেই।
ফ্রি ফ্রি ফ্রি! অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে চিঠি পাঠাতে আপনাকে ব্যয় করতে হতো কিন্তু এখন ফ্রি ইমেইল প্রোভাইডার এসে পড়ায় ইমেইল পাঠাতে কোনরূপ অর্থ দিতে হয়না বরঞ্চ আপনি আনলমিটেড স্টোরেজ পেয়ে যান।
নিরাপত্তাঃ এমন কিছু ইমেইল সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে যারা আপনার পাঠানো মেসেজকে ৫/৬ লেয়ারের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে যাতে সেগুলো প্রেরক এবং প্রাপক ছাড়া অন্য কেউ দেখতে না পারে।