আসসালামু আলাইকুম,
আমার নাম- মোঃ মেহেদী হাসান সানি। আমার বয়স ২৬ বছর, পেশায়- দোকানদার (কম্পিউটার)। অবিবাহিত। ১ম কথা হচ্ছে আমার মা বেঁচে নেই, ২০১৭ সালে মা মৃতু্বরণ করেন। ২০১৮ সালে বাবা আর একটি বিয়ে করেন। তখন থেকে সেই মা গার্জয়ান। সৎ মা সমাজের কিছু কুচক্রী ব্যক্তিবর্গের সাথে চলাফেরা উঠাবসা করে। কাউকে মান্য করে কথা বলে না। এগুলো আমি ছেলে হয়ে চোখের সামনে সহ্য করতে পারতাম না। অশ্লীল কাজগুলো করতে আমি বারণ দিই। এখন এগুলো কি কোন ছেলে সহ্য করবে। এই নিয়ে আমি সংসারে ঝগড়াঝাঁটি/ভাংচুর করতাম। এগুলো কথা সেই কুচক্রী মহল জানতে পেরে জোকসাজসে আমাকে মানসিক রোগী বানানোর জন্য মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রেখে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন নির্যাতন করে, আমি সহ্য করতে পারতাম না। আমি তাদের বলি দেখেন আমি মদ, গাজা, ইয়াবা ইত্যাদি মদ্যজাতীয় কিছুই খাইনা, প্রয়োজনে রক্ত পরিক্ষা করেন? কিন্তু তারা আমার কোন কথাই শোনে না, পরে জানতে পারি গার্জিয়ান যা যা বলবে সেই মোতাবেক ট্রিটমেন্ট করে তারা, পাগল বানিয়ে দিতে বললে পাগল বানিয়ে দিবে, গার্জিয়ান যা বলবে তাই করবে। আমার কোন কথা গ্রহণযোগ্য হবে না। ১ম দিন থেকে ইনজেকশন দেওয়া, ঔষধ খাওয়নো শুরু করে তারা। ওদের ইনজেকশন দেওয়া ও ঔষধ খাইছিলাম ৩ মাস,, রাতে ১০ এবং সকালে ৩ টা আর বিভন্ন ইনজেকশন আমার শরীরে প্রয়োগ করতো । তা খেয়ে আমার গায়ের ভিতর অতিরিক্ত জ্বালা-যন্ত্রণা করতো। দিন দিন আমার শরীরের শক্তি ও মনোবল কমতে থাকে। বর্তমানে শরীর কাপে, হাঁটুর ভিতরে চাঁবায়, পেট ক্লিয়ার হয় না, হাতের আঙ্গুলে এবং পায়ের তলায় প্রচুর ব্যাথা, দিন দিন শরীর ফুলে যাচ্ছে, নিজেকে দূর্বল মনে হচ্ছে, কোন কিছু শব্দ হলে পরাণ কেঁপে উঠছে। কিছুই ভালো লাগে না। বর্তমানে হাতে পায়ে তেমন শক্তি পাই না, মনের জোর একেবারেই নেই। বাড়ি আসার পরও ঐ ঔষধগুলো সৎ মা আমাকে খাওয়াতো, না খেলে ভয় দেখাতো। আর ডাক্তার বলছিলো মাকে জোর দিয়ে, কোন অবস্থাতেই ঔষধ বন্ধ করা যাবে না, যাই হয়ে যাক না কেন। ঔষধ খাওয়ার পর গায়ের ভিতর এত যন্ত্রণা করতো যে, প্রতিদিন রাতে গোসল করতাম। এত পরিমান যন্ত্রণা করতো।
একটা কাজ করবো মনে হয় আমার দ্বারা হবে না। আগের মত উদ্যোগ সাহস নেই। হাত পায়ে ব্যাথা, শক্তি নেই।কোন কাজ করতে গেলে প্রচুর পরিমানে হার্টবিট বেড়ে যায় ও দূর্বল লাগে, মুট করতে গেলে ব্যথা অনুভব করি, শক্তি ও মনোবল পায় না। মন দূর্বল হয়ে গেছে একদম। পেশার ok..যখন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ঢুকছিলাম তখন আমার wbc ছিল ১১০০০, আর এখন বর্তমান wbc ৮০০০... দিন দিন আমি একাকিত্ব হয়ে যাচ্ছি, দিন দিন আমি রোগী হয়ে যাচ্ছি। আমাকে সব দিক থেকে দূর্বল করে দিছে, বর্তমানে ঘন ঘন পস্রাব চাপে, কিছু খেলে পেটের ভিতর কেমন যেন হয়, পায়খানার চাপ হয়। কিন্তু পায়খানা তেমন হয় না। প্রস্রাব হাটুর ভিতরে কেমন একটা জানি করে ভিষণ অসহ্য যন্ত্রণা করে। হাতের আঙ্গুল কোকড়া হয়ে আসে,, ভালো লাগে না, একা একা থাকতে মন চাই। আগের মতো চলতে পারি না এখন, কাজগুলো ধীরে হয়ে গেছে। দিন দিন আমি অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছি। ওখান থেকে আসার পর থেকে দিন দিন আমি ফুলে যাচ্ছি, শরীর আগের মত নেই। আগের মত কাজের প্রতি কোন উদ্যেগ নেই। দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওরা কোন পিসক্রিপশন দেয় নি আমার কাছে,
আমি এটার সমাধান পাচ্ছি না, প্লিজ এটাকে মূল্যহীন ভাববেন না। আমাকে সাহায্য করুন
এখন আমি আগের মতো হবো কি করলে??
আর এই ঔষধের ক্রিয়া নষ্ট করবো কি করলে??
বর্তমানে আগের অবস্থানে ফিরতে কি কি করতে হবে বা কিভাবে ট্রিটমেন্ট নিবো??
কোন ধরণের ডক্টর দেখাবো এখন??