স্ত্রী-সহবাসের মাত্রা যেমন হওয়া উচিতঃ-
পাশ্চাত্য দেশীয় কোনো একজন যৌন শাস্ত্রবিদ বলেছেন, প্রতি সপ্তাহে দুবার এক বছরে একশ চারবার স্ত্রী সহবাস করলে স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ার কোনো ভয় থাকে না।
সাধারণতঃ এটা নির্ভর করে স্বামী-স্ত্রীর শরীরের সুস্থ্যতা ও শক্তি সামর্থের উপর। উপরে উল্লিখিত যৌনবিদের উক্তির বিপরীত যৌন মিলন করেও অনেকে সুস্থ ও সবল থেকে দাম্পত্য জীবনে সুখে আছে। অনেকে বিবাহের প্রাথমিক অবস্থায় মাত্রাতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস করে দিব্বি আরামে আছে। তবে যাদের মন-মানসিকতা সুস্থ্য থাকে না বা স্বাস্থ্য ভালো নয় কিংবা প্রায়ই রোগ- ব্যাধি থাকে, তাদের কথা আলাদা।
আমাদের দেশের অনেকের ধারণা যে, অধিক পরিমাণে স্ত্রী সহবাস করলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। এই রকম ধারণা ঠিক নয়। আসলে কে কতবার স্ত্রী সহবাস করবে উহা নির্ভর করে স্বামী-স্ত্রীর চাহিদা ও উৎসাহের উপরে।
অনেকে ধারণা করে থাকে যে, বেশী মাত্রায় স্ত্রী সহবাস করলে বেশী বীর্যপাত হয়ে শরীর খারাপ করে। এই ধারণা ঠিক নয়। পুষ্টিকর আহারাদি করলে বা স্বাস্থ্য পরিচর্যা করলে, বীর্যের শূন্যস্থান পূরণ হয়ে যায়। অবশ্য আমাদের দেশে প্রচলিত প্রবাদ আছে যে-
মাসে এক, বছরে বার।
তার চেয়ে যত কমাতে পার।
আমাদের মতে এই কথাই বলব যে, এ সকল নীতি-বাক্য শুধু ঐ সকল লোকদের জন্য যাদের শরীর ও স্বাস্থ্য খারাপ বা দুর্বল হয়ে থাকে। কখনো কখনো দেখা যায় যে, স্ত্রী-সহবাসে অনেকের ভগ্ন স্বাস্থ্য ভালো হয়ে গেছে। আবার অনেকের দেখা যায় যে, রীতিমত সহবাস না করলে তাদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় এবং সুস্থ্য থাকে না। মোট কথা হল যে, যাদের দেহ মন সুস্থ তাদের জন্য মাত্রা বেশি হওয়ায় কোনো ক্ষতি নেই। আর যাদের শরীর ও স্বাস্থ্য খারাপ বা দুর্বল তাদের জন্য মাত্রা কম হওয়াই আবশ্যক।