জাদু থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে প্রথমত জানতে হবে জাদুকর কীভাবে জাদু করেছে। তা জেনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এমনকি বিভিন্ন দোয়া রয়েছে তা পাঠ করে ফুঁ দিলে জাদু নষ্ট হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। হজরত জিবরাইল (আ.) রসুল (সা.)-কে একটি দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছিলেন। দোয়াটি হচ্ছে, বিসমিল্লাহি আরক্বিক মিন কুল্লি শাইয়িন যুজিক। ওয়া মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসিদিন; আল্লাহু ইয়াশফিক। বিসমিল্লাহি আরক্বিক।' অর্থাৎ আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। সব কষ্টদায়ক বিষয় থেকে। প্রত্যেক আত্মা ও ঈর্ষাপরায়ণ চক্ষুর অনিষ্ট থেকে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য করুন। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি।
(মুসলিম শরীফ)
জাদু থেকে মুক্তি পেতে হলে আয়াতুল কুরসি অথবা সুরা আরাফ, সুরা ইউনুস, সুরা ত্বহার জাদুবিষয়ক আয়াতের সঙ্গে সুরা কাফিরুন, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে জাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর ও পাত্রে পানি রেখে পানিতে ফুল দিয়ে সেই পানি পান বা গোসল করালে ইনশা আল্লাহ রোগী সুস্থ হয়ে যাবে। এ ছাড়া নিম্নবর্ণিত দোয়াটি পাঠ করে ঝাড়ফুঁক করা যেতে পারে। আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণিত, রসুল (সা.). নিম্নে উল্লিখিত দোয়াটি পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়ফুঁক করতেন। 'আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি উজহিবাল বাসি, ইশফিহি ওয়া আনতাশ-শাফি, লা শিফায়া ইল্লা শিফায়ুকা শিফায়ান লা ইউগাদিরু সাকমা।' অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী, আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী, আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ না থাকে। (বুখারি শরীফ)
সর্বোপরি কেউ যেন জাদু করতে না পারে সেজন্য নিজেকে সর্বদা আমলের মধ্যে থাকতে হবে।