গবাদি পশুর দানাদার খাদ্যের প্রাণিজ উৎসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
* মাছের খোসা: মাছের খোসা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের একটি ভালো উৎস। এটি গবাদি পশুর বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
* রক্তের গুঁড়া: রক্তের গুঁড়া প্রোটিন এবং লোহার একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি গবাদি পশুর রক্তের অভাব দূর করে এবং তাদের শক্তি স্তর উন্নত করে।
* মাংসের খোসা: মাংসের খোসা প্রোটিন, চর্বি এবং খনিজের একটি ভালো উৎস। এটি গবাদি পশুর ত্বক, লোম এবং পেশীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
* পাখির পালকের গুঁড়া: পাখির পালকের গুঁড়া প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের একটি ভালো উৎস। এটি গবাদি পশুর হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
* ডিমের খোসার গুঁড়া: ডিমের খোসার গুঁড়া ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের একটি ভালো উৎস। এটি গবাদি পশুর হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, গবাদি পশুর খাদ্যে প্রাণিজ চর্বি, যেমন মুরগির চর্বি এবং শুয়োরের চর্বি ব্যবহার করা হয়। এগুলো শক্তির একটি ভালো উৎস এবং গবাদি পশুর ত্বক ও লোমের উন্নতিতে সহায়তা করে।
গবাদি পশুর খাদ্যে প্রাণিজ উৎস ব্যবহারের কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন:
* উচ্চ প্রোটিন: প্রাণিজ উৎসে উদ্ভিজ উৎসের তুলনায় অনেক বেশি প্রোটিন থাকে। প্রোটিন গবাদি পশুর বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতার জন্য অপরিহার্য।
* উচ্চ শক্তি: প্রাণিজ উৎসে উদ্ভিজ উৎসের তুলনায় অনেক বেশি শক্তি থাকে। শক্তি গবাদি পশুর কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয়।
* উচ্চ খনিজ: প্রাণিজ উৎসে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং লোহার মতো খনিজের পরিমাণ বেশি থাকে। এই খনিজগুলি গবাদি পশুর হাড়, দাঁত, রক্ত এবং পেশীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
তবে, গবাদি পশুর খাদ্যে প্রাণিজ উৎস ব্যবহারের কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যেমন:
* উচ্চ খরচ: প্রাণিজ উৎস উদ্ভিজ উৎসের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল।