মেঘ সৌর বিকিরণকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে, মূলত বিকিরণের প্রতিফলন, বিরোধী প্রতিফলন এবং আবরণের মাধ্যমে বিক্ষিপ্ত করা দ্বারা। মেঘের উপস্থিতি সৌর বিকিরণের পৃথিবীতে পৌঁছানোর পরিমাণ কমিয়ে দেয় বা বাড়িয়ে দেয়। এখানে কিছু প্রধান উপায় ব্যাখ্যা করা হলো:
1. প্রতিফলন (Reflection):
মেঘ সাধারণত সাদা বা সাদা-বর্ণের থাকে, যা সৌর বিকিরণকে প্রতিফলিত করে। যখন সূর্যের রশ্মি মেঘের সাথে সংঘর্ষ করে, তখন অনেক রশ্মি প্রতিফলিত হয়ে ফিরে চলে যায়, যার ফলে পৃথিবীতে পৌঁছানো আলো কমে যায়। তাই, মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্যের তীব্রতা কম থাকে।
2. আবরণের মাধ্যমে বিক্ষিপ্তকরণ (Scattering):
মেঘের পানি কণাগুলি সূর্যের রশ্মিকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম, যার ফলে সূর্যের আলো বিক্ষিপ্ত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়াটি মেঘের আকাশে সাদা বা ধূসর রঙ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।
3. অবশিষ্ট তাপ শোষণ (Absorption of Heat):
মেঘ শুধু প্রতিফলনই করে না, বরং কিছু সৌর বিকিরণ শোষণও করতে পারে। মেঘের মধ্যে থাকা জলবাষ্প সূর্যের কিছু তাপ শোষণ করে এবং তা পৃথিবীর দিকে পুনরায় বিকিরিত হয়, যা পরিবেশের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
4. গ্লোবাল তাপমাত্রা পরিবর্তন (Global Temperature Modulation):
মেঘের প্রভাব পৃথিবীর তাপমাত্রার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। যদি মেঘের পরিমাণ বেশি থাকে, তা সূর্যের রশ্মিকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমাতে পারে। অন্যদিকে, যদি মেঘ কম থাকে, সূর্যের তাপ পৃথিবীতে পৌঁছে তাপমাত্রা বাড়াতে পারে।
সাধারণভাবে, মেঘ সৌর বিকিরণের এক ধরনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। এটি পৃথিবীতে আগত আলো এবং তাপের পরিমাণ কমাতে বা বাড়াতে পারে, যা জলবায়ু এবং আবহাওয়া পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।