যদি হাতে লেগে থাকা কামরস (semen) যোনিতে প্রবেশ করে, তবে প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যদিও তা কম। কারণ শুক্রাণু (sperm) এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার পরেও তা গর্ভাবস্থা সৃষ্টি করতে সক্ষম হতে পারে, বিশেষত যদি শুক্রাণু কোনো কারণে যোনিতে প্রবেশ করে এবং ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়।
যেহেতু প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা কম, তবে এটি একেবারে অবশিষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে, যদি আপনি গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে চান, তবে জরুরি অবস্থা গর্ভনিরোধক পিল (Emergency Contraceptive Pill বা ইসিজি) খাওয়ার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা যেতে পারে। এই ধরনের পিল সাধারণত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে কার্যকরী হয়, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাওয়া উচিত।
পিল খাওয়ার সম্ভাব্য সমস্যা:
ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাওয়ার ফলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন বমি, মাথা ব্যথা, অস্থিরতা, বা সাইকেল পরিবর্তন (পিরিয়ডে বিলম্ব বা অল্প পিরিয়ড)। তবে, সাধারণত এটি দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না।
এই ধরনের পিল একটি জরুরি ব্যবস্থা, এবং এটি নিয়মিত গর্ভনিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত নয়। যদি আপনি নিয়মিত গর্ভনিরোধক ব্যবহারের চিন্তা করছেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
সর্বোপরি, গর্ভধারণের ঝুঁকি কমাতে এবং সুস্থ থাকার জন্য উপযুক্ত গর্ভনিরোধক ব্যবহারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।