101 বার দেখা হয়েছে
"মোবাইল" বিভাগে করেছেন

1 টি উত্তর

0 জনের পছন্দ 0 জনের অপছন্দ
করেছেন
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

মোবাইল ফোনের সিকিউরিটি ফিচার যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস রিকগনিশন সিস্টেম আধুনিক প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়েছে। এগুলোর কাজের পদ্ধতি এবং নিরাপত্তা সুবিধা নিচে বর্ণনা করা হলো:


১. ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর:

কাজের প্রক্রিয়া:

ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর আমাদের আঙুলের ছাপ স্ক্যান করে এবং একটি অনন্য প্যাটার্ন শনাক্ত করে। এই প্রযুক্তিতে মূলত তিন ধরনের সেন্সর ব্যবহার হয়—

  1. অপটিকাল সেন্সর:
    • আঙুলের ছবি তোলে এবং আলো ব্যবহার করে ছাপ বিশ্লেষণ করে।
  2. ক্যাপাসিটিভ সেন্সর:
    • বৈদ্যুতিক চার্জ ব্যবহার করে আঙুলের ছাপের খাঁজ ও ঢাল বিশ্লেষণ করে।
  3. আল্ট্রাসোনিক সেন্সর:
    • শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে আঙুলের ত্রিমাত্রিক (3D) মানচিত্র তৈরি করে।

নিরাপত্তা সুবিধা:

  • প্রতিটি মানুষের আঙুলের ছাপ ভিন্ন হওয়ায় নকল করা কঠিন।
  • দ্রুত এবং নির্ভুল যাচাইয়ের জন্য উপযুক্ত।
  • বায়োমেট্রিক ডেটা এনক্রিপ্টেড থাকে, যা সুরক্ষিত রাখে।
  • কোনো পাসওয়ার্ড মনে রাখার দরকার হয় না।

২. ফেস রিকগনিশন সিস্টেম:

কাজের প্রক্রিয়া:

ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি মুখের গঠন এবং বৈশিষ্ট্য স্ক্যান করে শনাক্ত করে। এর প্রক্রিয়া:

  1. 2D ফেস স্ক্যান:
    • ক্যামেরা ছবি তুলে মুখের বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করে।
  2. 3D ফেস স্ক্যান:
    • ইনফ্রারেড এবং ডেপথ সেন্সর ব্যবহার করে মুখের গভীরতা এবং আকার পরিমাপ করে।
  3. AI এবং মেশিন লার্নিং:
    • সফটওয়্যার মুখের ছোট পরিবর্তন (চশমা, দাড়ি ইত্যাদি) চিনতে পারে।

নিরাপত্তা সুবিধা:

  • দ্রুত এবং কন্টাক্টলেস (স্পর্শ ছাড়াই) যাচাইয়ের সুবিধা।
  • উচ্চমানের 3D স্ক্যানিং প্রযুক্তি নকল প্রতিরোধ করে।
  • অনেক ডিভাইসে ইনফ্রারেড ক্যামেরা থাকায় অন্ধকারেও কাজ করে।
  • AI ব্যবহার করে অবৈধ প্রচেষ্টা শনাক্ত করা যায়।

সামগ্রিক নিরাপত্তা:

  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস রিকগনিশন উভয়ই শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রদান করে।
  • বায়োমেট্রিক ডেটা সাধারণত ডিভাইসের নিরাপদ চিপ বা TPU (Trusted Platform Unit)-এ সংরক্ষিত থাকে, যা সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ করে।
  • দুই ধাপের যাচাই (2FA) এর সাথে এই ফিচারগুলো ব্যবহার করলে নিরাপত্তা আরও বেড়ে যায়।

যেসব ঝুঁকি থাকতে পারে:

  1. হ্যাকিং বা কপি: উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে ছাপ বা মুখের নকল তৈরি করা সম্ভব হতে পারে।
  2. ডিভাইস চুরি: যদি কেউ ডিভাইস চুরি করে এবং আপনার আঙুল বা মুখ ব্যবহার করে খোলার চেষ্টা করে, তবে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
  3. ডেটা ব্রিচ: ডিভাইসের স্টোরেজ থেকে বায়োমেট্রিক ডেটা লিক হলে ঝুঁকি হতে পারে।

নিরাপত্তা পরামর্শ:

  • সর্বদা সফটওয়্যার আপডেট রাখুন।
  • শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বা PIN ব্যবহার করুন।
  • দুই স্তরের যাচাই (2FA) চালু রাখুন।
  • ট্রাস্টেড ব্র্যান্ডের ডিভাইস ব্যবহার করুন।

এভাবে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি আমাদের ডিভাইসের নিরাপত্তা আরও সহজ ও উন্নত করে তুলেছে।

এরকম আরও কিছু প্রশ্ন

0 টি উত্তর

36,285 টি প্রশ্ন

35,495 টি উত্তর

1,742 টি মন্তব্য

3,816 জন সদস্য

Ask Answers সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম! এখানে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করতে পারবেন ৷ আর অনলাইনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজে অবদান রাখতে পারবেন ৷
12 জন অনলাইনে আছেন
0 জন সদস্য, 12 জন অতিথি
আজকে ভিজিট : 4250
গতকাল ভিজিট : 31276
সর্বমোট ভিজিট : 53540325
এখানে প্রকাশিত সকল প্রশ্ন ও উত্তরের দায়ভার কেবল সংশ্লিষ্ট প্রশ্নকর্তা ও উত্তর দানকারীর৷ কোন প্রকার আইনি সমস্যা Ask Answers কর্তৃপক্ষ বহন করবে না৷
...