কারণ হচ্ছে, ইসলামে কোন মানুষ বা প্রাণির প্রতিকৃতি অঙ্কন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ জন্য হজরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর কোন ছবি বা প্রতিকৃতি নেই।
হজরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর একটি হাদিসে আছে, যে কেউ দুনিয়াতে কোনো প্রতিকৃতি তৈরি করবে তাকে কিয়ামতের দিন বাধ্য করা হবে যেন সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে, অথচ সে তা করতে সক্ষম হবেনা। (সহীহ বুখারী)।
একটা ব্যাপার খুব পরিষ্কার জ্ঞানের মধ্যে থাকা দরকার, সেটা হচ্ছে হজরত মুহাম্মাদ (সঃ) সৃষ্টিকর্তা বা দেবতা নয়, তিনি হচ্ছেন সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে সৃষ্টিকর্তার একত্ববাদের সর্বশেষ প্রচারক।যেই একত্ববাদের প্রচার করেছেন নবী মুসা আঃ বা ঈসা আঃ । এখন যদি হজরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর প্রতিকৃতি থাকতো তাহলে মুসলমানদের একাংশই আবেগের আতিশয্যে ঐ ছবি বা প্রতিকৃতির পুঁজো করা শুরু করতো। অথচ ইসলামের মতে, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা এবং উপাস্য আর বাকি যা কিছু আছে সব হচ্ছে তার সৃষ্টি।(আমি যদ্দুর শুনেছি, হিন্দুধর্মের গ্রন্থ বেদেও স্রষ্টার একত্ববাদের কথা বলা হয়েছে)। তো,সেইজন্য স্রষ্টার প্রাপ্য উপাসনা সৃষ্টিকে উৎসর্গ করাকে পবিত্র কুরাআনে সবচেয়ে বড় জুলুম হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই যদি বিশ্বনবী (সঃ) এর ছবি থাকতো তাহলে একাংশ বিভ্রান্ত হয়ে আবেগে তার পুজো শুরু করে দিত।