তিনি হচ্ছেন মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সাবেক ডিজি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুই তারকা বিশিষ্ট জেনারেল । ১৯৫৬ সালের ১৮ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ১, ২, ৩, ৯ ও ২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি; আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, ৯ আর্টিলারি ব্রিগেড, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন নিযুক্তিতে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিডিআরে সেক্টর কমান্ডার (রংপুর), ৬৬ আর্টিলারি ব্রিগেডে কমান্ডার, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সামরিক সচিব ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা পদেও নিয়োজিত ছিলেন। সবশেষে তিনি বিডিআরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মজীবন
মে.জে. শাকিল আহমেদ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আর্মিতে আর্টিলারি রেজিমেন্টে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে মালয়েশিয়া আর্মড ফোর্সের ষ্টাফ কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট লাভ করেন। আর আর্টিলারি কোর্স সম্পন্ন করেন ইউএস থেকে আর ডাইরেক্টিং ষ্টাফ গ্রাজুয়েট লাভ করেন বাংলাদেশ আর্মড ষ্টাফ কলেজ হতে। ২০০২ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ হতে গ্রাজুয়েট লাভ করে মেজর জেনারেল পদবি গ্রহণ করেন। অপারেশন ডাল- ভাত সহ ভারতের সাথে বিভিন্নধরনের সীমান্ত জটিলতা মুক্ত করেন। তাছাড়া তিনি লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত ছিলেন। মে.জে. শাকিল আহমেদ বাংলাদেশ আর্মিতে আর্টিলারি রেজিমেন্টে যোগদান করেন পরবর্তীকালে ডাইরেক্টিং ষ্টাফ গ্রাজুয়েশন লাভ করলে তাকে বাংলাদেশ রাইফেলসে বর্ডারে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশ আর্মির আর্টিলারি স্কুলের নির্দেশক ও ফিল্ড আর্টিলারি বিগ্রেডের কমান্ডার ছিলেন। তিনি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ আমৃত্যু বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রধান (মহাপরিচালক) ছিলেন।
সম্মাননা
তার এ তেত্রিশ বছরের সামরিক জীবনীতে তার অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য দেশে বিদেশে অনেক সম্মাননা পান যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
নিরাপত্তা পদক
দাবানল পদক
১৯৯১ সংসদ নির্বাচন পদক
গোল্ডেন জুবলী পদক
১৯৯৮ মহাপ্লাবন পদক
জেষ্ঠ পদক ১
দেহাবসান
২০০৯ সালে কিছু বিপথগামী বিডিআর সৈনিকদের হাতে ব্রাশফায়ারে শহীদ হোন মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। বাংলাদেশ রাইফেলসের সৈন্যরা তাদের বেতন, জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য সুযোগ না পাওয়া সহ নানা অভিযোগ করে। অসন্তুষ্ট সৈন্যরা মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ এবং তার কয়েকজন কমান্ডারকে সাথে দেখা করে এবং এই কর্মসূচি শেষে বা পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করার আহবান জানান। সৈনিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে জেনারেল আহমেদকে বেসামরিক সরকারকে বার বার প্রচেষ্টার সত্ত্বেও। জেনারেল আহমেদ ২২ ফেব্রুয়ারি চ্যানেল আই-এর একটি সাক্ষাত্কারে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। বিদ্রোহের কারণ সম্পর্কে জওয়ানদের নানা ক্ষোভের কথা বলা হলেও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট হয়নি সাধারণ মানুষের কাছে।
সংগৃহীত।