চাঁদ এবং সূর্য নিয়ে ঋগ্বেদ এ একটা মন্ত্র আছে(ছবিসহ)।
যত্ ত্বা সূর্য স্বর্ভানু স্তমসাবিধ্যদাসুরঃ।
অক্ষেত্রবিদ্ যথা মুগ্ধো ভূবনান্যদীধয়ুঃ।।
(ঋগ্বেদ-৫/৪০/৫)
সরলার্থঃ “হে সূর্য! যাকে (চাঁদকে) তুমি তোমার নিজ আলো উপহার স্বরূপ প্রদান করেছ, তাঁর দ্বারা যখন তুমি আচ্ছাদিত হয়ে যাও, তখন আকস্মিক অন্ধকারে পৃথিবী ভীত হয়ে যায়।”
এখানে সূর্যগ্রহন সম্পর্কে খুব সুন্দর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। চাঁদ যখন পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝে অবস্থান করে সূর্যের সামনে আচ্ছাদন তৈরি করে তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে এবং পৃথিবীতে অন্ধকার নেমে আসে। এখানে আরেকটা বিষয় লক্ষণীয়, চাঁদের যে আলো নেই এবং সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় সেটাও উল্লেখ করা আছে।
আবার চাঁদের আকর্ষণের কারণেই যে জোয়ার ভাটা হয় সেটাও আংশিকভাবে বলা আছে দেখুন
ওঁ প্র সোমাসো বিপশ্চিতোহপাং ন যন্ত্যুর্ময়ঃ।
বনানি মহিষা ইব॥
(ঋগ্বেদ-৯/৩৩/১) (সামবেদ-৪৭৮) (সামবেদ-৭৬৪)
সরলার্থঃ “জলের তরঙ্গ যেমন চন্দ্রমার পানে ধাবিত হয়, পুণ্যাত্মা পুরুষেরা যেমন সত্য, শুভ এবং সুন্দরের জন্য যত্ন করেন; জ্ঞানলুব্ধো সাধকেরাও তেমনি পরমাত্মার বাণী বেদকে অনুধাবন করার জন্য সাধনার পথে অগ্রসর হন।”
অর্থাৎ চাঁদের কারণেই যে জলরাশি ফুলে ফেপে ওঠে সেইটা নিশ্চিত।
এছাড়াও আরও আছে
যখন সূর্য ও চন্দ্র উভয়ই পরস্পর পরম বিকর্ষ অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে বিপরীত দিকে অবস্থান করে, তখন সেটিই পূর্ণিমা এবং যখন সূর্য ও চন্দ্র উভয়ই পরম সঙ্কর্ষণ অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে একদিকে অবস্থান করে, তখন সেটিই অমাবস্যা।”
(সামবেদীয় গোভিল গৃহ্যসূত্র-১/৫/৭)