পৌরাণিক কাহিনির শাব্দিক অর্থ না দেখে আধ্যাত্মিক অর্থ দেখতে হয়। পুরাণের কাহিনী গুলো লোকশিক্ষার জন্য রচিত। পুরাণের রক্ত মাংসের দেব-দেবীর বৈদিক শাস্ত্রে অস্তিত্ব নেই।
বেদ থেকে বিভিন্ন দেবতার নাম নিয়ে সেগুলোকে আকৃতি দান করে পুরাণ রচনা করেছিলেন বেদব্যাস।
দেব-দেবী এক ঈশ্বরের বিভিন্ন গুণমাত্র।
ত্রয়স্ত্রিং শতাস্তুবৎ ভুতান্য শাম্যন্ প্রজাপতিঃ।
পরমেষ্ঠ্যধিপতিরাসীৎ॥
(যজুর্বেদ-১৪।৩১)
অনুবাদঃযার প্রভাবে গতিশীল প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত হয়, প্রজার পালক যিনি, সর্বব্যাক, অন্তরীক্ষে ব্যাপ্ত, তাঁর মহাভুতের তেত্রিশ প্রকার গুণের স্তুতি করো।
উপরের মন্ত্রটিতে দেখুন তেত্রিশ প্রকার গুণের কথা বলা হয়েছে। আর এই তেত্রিশ প্রকার গুণই হলো তেত্রিশ প্রকার দেবতা। নিচের শতপথ ব্রাহ্মণের অংশটুকু দেখুন।
যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি শাকল্যকে বলেছেন “দেব তেত্রিশটি যা পরমেশ্বরের মহিমার প্রকাশক। আর সেই তেত্রিশ দেবতা হলো অষ্টবসু, একাদশ রুদ্র, দ্বাদশ আদিত্য, ইন্দ্র ও প্রজাপতি।”
(শতপথ ব্রাহ্মণ-১৪।৫)
অর্থাৎ সেই গুণগুলোই হলো দেবতা। আর এইসব গুণ কখনও পৌরাণিক কাহিনির বর্ণনার মতো ভুল করে না।