###প্রথম ধাপ- সাপের বিষ সংগ্রহঃ
যে সাপের বিষের এন্টি ভেনম তৈরি করতে হবে প্রথমে সেই সাপের বিষ সংগ্রহ করা হয়।
প্রত্যেক সাপের বিষ আলাদা ধরনের তাই এক সাপের বিষের এন্টি ভেনম অন্য সাপের বিষ ধ্বংস করতে পারেনা।
একটি পাত্রের মুখে কাগজ বা প্লাস্টিক আটকে সেখানে সাপের দাঁত ঢুকিয়ে দিলে ফোঁটায় ফোঁটায় সাপের বিষ ঝরে পড়ে। একই সাপ হতে এভাবে সপ্তাহে একবার পূর্ণ পরিমানে বিষ পাওয়া যায়।
সাপের বিষ সংগ্রহ করা একটি শিল্প। জংলী সাপের বিষ থেকেই পূর্বে বিষ সংগ্রহ করা হত। কিন্তু ব্যাপক চাহিদার কারনে আজকাল বিষের জন্য সাপের খামার রয়েছে বিভিন্ন দেশে।
পাশের দেশ ভারতে বেশ বড় আকারের কিছু সাপের খামার রয়েছে।
বাংলাদেশে এমন খামার এখনো তেমন নেই; সম্ভবত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সাপ পালন এখনো তেমন একটা প্রসার লাভ করেনি বাংলাদেশে।
###দ্বিতীয় ধাপ- ভেনম ফ্রিজিংঃ
মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জমিয়ে ফেললে বিষ থেকে জলীয় অংশ আলাদা হয়ে সাপের বিষ গুড়ো পাউডারে রূপান্তরিত হয়। একটি সাপ থেকে খুব অল্প পরিমানেই পাউডার পাওয়া যায়; তাই সাপের বিষের গুড়ো সোনার মতনই দামী। অন্য আর ১০ টি দেশের মতন বাংলাদেশ থেকেও বিপুল পরিমানে সাপের বিষের গুড়ো বিদেশে পাচার হয়ে যায়; মাঝে মধ্যে যখন সীমান্তে বিষ আটক হয় তখনি বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। বাকী সময় তা থেকে যায় আমাদের চোখের আড়ালে।