০১. জীবনের নতুন নতুন দর্শন খুঁজে পাবেন
বই পড়ার মাধ্যমে আপনি সব সময়েই নতুন নতুন বিষয়ের সাথে পরিচিত হবেন। প্রতিটি বই থেকে কিছু না কিছু নতুন জানতে পারবেন। যে কোনও সমস্যা সমাধানের নতুন নতুন পথ ভাবতে পারবেন।
জগতের প্রতি, জীবনের প্রতি আলাদা আলাদা দর্শনের কথা জানতে পারবেন। ভিন্ন ভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে কিভাবে চিন্তা করে – তার একটা ভাল ধারনা পাবেন।
একজন লেখকের দীর্ঘদিনের ভাবনা, পর্যবেক্ষণ আর গবেষণার ফসল এক একটি বই। আপনি মাত্র কয়েক ঘন্টায়, বা কয়েক দিনে একজন মানুষের বছরের পর বছর ধরে গোছানো চিন্তাধারা, গবেষনা, জ্ঞান নিতে পারবেন – যা আপনার সামনের দিকে এগিয়ে চলার পথে সহায়তা করবে।
প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদা চিন্তাধারার সাথে পরিচিত হওয়ার ফলে আপনি একটি বিষয়কে বিভিন্ন দিক থেকে বিচার করতে পারবেন।
বই পড়ার অভ্যাস করলে আপনি নিজেই একটা সময়ে বুঝতে পারবেন আপনার মনের অনেক নতুন জানালা খুলে যাচ্ছে। যে জানালাগুলো এতদিন বন্ধ ছিল। নিজেকে, জীবনকে আর পৃথিবীকে আপনি একটি আলাদা দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করবেন।
০২. বই পড়া আপনাকে আরও বিচক্ষণ করে তুলবে
বইপড়া আপনাকে মানুষ হিসেবে সমৃদ্ধ করবে। বই পড়ার ফলে আপনি আপনার আগ্রহের বিষয়গুলোকে আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন। আপনার জ্ঞান যত বাড়বে, আপনার বুদ্ধি ততই ধারালো হবে।
প্রতিটি বিষয়কে আপনি আরও ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন। কোনও বিষয়ে কাউকে বোঝাতে গেলে, বা নিজে বুঝতে গেলে সেই বিষয়ে যত জ্ঞান আপনার থাকবে, কাজটি আপনার জন্য ততটাই সহজ হয়ে যাবে।
আর এই ক্ষেত্রে বই পড়ার কোনও বিকল্প নেই। প্রতিটি নতুন পৃষ্ঠা আপনাকে একটু একটু করে আরও বিচক্ষণ বা স্মার্ট করে তুলবে। বই পড়া মানে মস্তিষ্ক বা বুদ্ধিমত্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া। জ্ঞান বাড়ার সাথে সাথে বুদ্ধি দ্রুততর হয়।
যে কোনও সমস্যার সমাধান আপনি আগের চেয়ে দ্রুত করতে পারবেন। এর কারণ, একটি সমস্যার বিভিন্ন দিক আপনার জানা থাকবে, ফলে সমাধান বের করতেও আপনার তুলনামূলক কম সময় লাগবে।
পৃথিবীর বেশিরভাগ বড় বড় সফল মানুষের মারাত্মক বই পড়ার নেশা ছিল, বা এখনও আছে। ওয়ারেন বাফেট, বিল গেটস থেকে শুরু করে ভিঞ্চি, আলেকজান্ডার, নেপোলিয়ন, ম্যান্ডেলা – এদের সবাই দারুন ভাবে বইয়ের ভক্ত ছিলেন।
০৩. বই পড়া কল্পনা ও সৃষ্টিশীলতাকে শক্তিশালী করে
আপনি যে কোনও বড় লেখককে জিজ্ঞাসা করুন, লেখক হওয়ার জন্য সবচেয়ে জরুরী বিষয় কোনটি? প্রায় সবাই বলবেন – পড়ার অভ্যাস।
কল্পনাশক্তি আর সৃষ্টিশীলতাকে শক্তিশালী করার জন্য বই পড়ার চেয়ে ভাল কোনও উপায় বোধহয় আর নেই।
আপনি যখন একটি বই পড়েন, তখন বইয়ের ঘটনা, চরিত্র – সবকিছুই আপনাকে কল্পনা করে নিতে হয়।
আপনি যখন বই পড়বেন তখন আপনি একটি নতুন জগতে প্রবেশ করবেন। একটু একটু করে সেই জগত আর তার বাসিন্দাদের ছবি আপনার মনে স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকবে। সেইসাথে ধারালো হতে থাকবে আপনার কল্পনাশক্তি। আপনার মাথায় নতুন নতুন আইডিয়া আসতে থাকবে। অনেক কালজয়ী লেখকই স্বীকার করেন যে তাঁদের নতুন অনেক গল্পই এসেছে আরও দশটি গল্প পড়ার পর।
একইভাবে একজন চিত্রশিল্পী, একজন পরিচালক – বা অন্য যে কোনও ধরনের সৃষ্টিশীল কাজই করুন না কেন, বই পড়া আপনার সেই সৃষ্টিশীলতাকে বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে।