কেউ যদি বুঝতে পারে যে, কিছুদিনের মধ্যে তার মৃত্যু হবে তাহলে তার জন্য ১০টি করণীয় ও দিক নির্দেশনা:
মৃত্যু এক অবধারিত ও সুনিশ্চিত বিষয়। এখান থেকে পালানোর কারও সুযোগ নাই। কিন্তু কেউ জানে না, কার কখন কোথায় মৃত্যু সংঘটিত হবে। তাই তো আল্লাহ তাআলা বলেন:
ۖ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا ۖ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ ۚ إِنَّ اللَّـهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
“কেউ জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।" (সূরা লোকমান: ৩৪)
তবে কেউ যদি মারাত্মক অসুখ, শারীরিক জটিল অবস্থা বা বিশেষ পরিস্থিতিতে অনুভব করতে পারে যে, হয়ত সে জীবন সায়াহ্নে এসে উপনীত হয়েছে, ক্ষণকাল পরেই তার জীবনের সূর্য নি:সীম অন্ধকারে হারিয়ে যাবে; আর কখনোই তা ফিরে আসবে না তাহলে তার উচিত, মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং জীবনের বাকি সময়টুকুকে অমূল্য সম্পদ মনে করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও গুনাহ মোচনের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করা।
এমন পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে অতি সংক্ষেপে কয়েকটি দিক নির্দেশনা তুলে ধরা হল:
◈ ১) পরম ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে নিজের অতীত জীবনের সকল গুনাহের কথা তুলে ধরে অনুতপ্ত হৃদয়ে নিখাদ চিত্তে তওবা-ইস্তিগফার করা।
◈ ২) আল্লাহর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও অতীত জীবনে ঘটে যাওয়া ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোকে যথাসাধ্য অধিক পরিমাণে নফল ইবাদত-বন্দেগি ও নেকির কাজ দ্বারা ভরপুর করে দেয়া।
◈ ৩) সাধ্যমত কুরআন তিলাওয়াত, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, দুআ, তাসবিহ ও জিকির-আজকার দ্বারা জিহ্বাকে সজীব রাখা।
◈ ৪) কবরের অন্ধকার, হাশরের ভয়াবহতা, জাহান্নামের মর্মন্তুদ শাস্তি ইত্যাদির ভয়ে আল্লাহর নিকট ক্রন্দন করা এবং তার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা।