ইবাদতের তাৎপর্য ইবাদত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা বা দাসত্ব। ইবাদতের তাৎপর্য শরী’আতের পরিভাষায়- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন ও পছন্দ করেন, এবং যেগুলো করতে আদেশ করেছেন সেগুলোকে পালন করা এবং যা করতে নিধেষ করেছেন তা ছেড়ে দেওয়া, এ সবের একটি সামষ্টিক নাম হল ইবাদত। তাই যতসব কথাবার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেন যেমন- নামায কায়েম করা, রোযা পালন করা, কুরবানী, নযর-মানত প্রদান করা,যাকাত- ছাদক্বা প্রদান করা, আল্লাহর নিকট প্রা দো’আ করা, আল্লাহর উপর ভরসা রাখা, এবং রাসূলের আনুগত্য করা। কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা, কুরআন-সুন্নাহতে বর্ণিত ও নির্দেশিত দো’আ ও যিকর-আযকার করা, রাসূল (সা.) -এর প্রতি ছালাত ও ছালাম পাঠ করা ইত্যাদি – এ সব প্রতিটি কাজ হল একেকটি ইবাদত। তাই যতসব কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মকে আল্লাহ অনুসৃত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত পন্থানুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে তাঁরই সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে তাঁরপ্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয় ও সর্বোচ্চ ভালোবাসা নিয়ে, তাঁর প্রতি পূর্ণ বশ্যতা ও আনুগত্য প্রদর্শণ পূর্বক তাঁর মহত্বের সম্মুখে অবনত মস্তকে চূড়ান্ত বিনয়ের সাথে ছওয়াবের (আল্লাহর নিকট উত্তম প্রতিদান লাভের) আগ্রহ ও সুদৃঢ় আশা নিয়ে উপরিউক্ত যে কোন কর্ম সম্পাদন করাকে আল্লাহর ইবাদত বলে।