বিভিন্ন অনলাইন নিউজ ঘেঁটে যা জানতে পারলামঃ-
দ্য ভার্জের প্রতিবেদন অনুসারে, এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ফেসবুকের তথাকথিত মেটাভার্স কোম্পানি গঠনের লক্ষ্যে। মেটাভার্স এমন এক অনলাইন দুনিয়া, যেখানে মানুষজন পৃথক ডিভাইস ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল এক জগতে চলাফেলা, যোগাযোগ ও কাজ করতে পারবেন।
গত জুলাই থেকে এ মেটাভার্স নিয়ে কথা বলছেন জাকারবার্গ। তখন তিনি বলেছিলেন, ফেসবুকের ভবিষ্যৎ লুকিয়ে আছে মেটাভার্স ধারণায়। প্রযুক্তিগত এ ধারণা একজন মানুষকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটিকে উপভোগ করার সুযোগ করে দেবে। যেখানে একজন কাজ করার সঙ্গে চলাফেরা করতে পারবেন।
ওই সময় জাকারবার্গ বলেন, ‘আসছে বছরগুলোতে মানুষজন আমাদের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানি থেকে ধীরে ধীরে মেটাভার্স কোম্পানি হিসেবে দেখতে শুরু করবে। অনেক দিক থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রযুক্তির চূড়ান্ত অবস্থা হলো মেটাভার্স।’
ভার্জের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ফেসবুকের রয়েছে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, অকুলাসের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আরও বেশ কিছু অ্যাপ। নতুন নামে ব্র্যান্ডিংয়ের কারণে ফেসবুক ইনকরপোরেশনের এ অ্যাপগুলো একটি মূল কোম্পানির অধীনে চলে আসবে।
কোম্পানিটির কর্মকর্তারা বলছেন, ফেসবুক ইনকরপোরেশনের আওতায় বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তাই মূল প্রতিষ্ঠানের নাম ফেসবুক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এ জন্য মূল প্রতিষ্ঠানের নামটি পরিবর্তন করা হয়েছে। অনেকটা গুগলের মতো। মূল সংস্থার নাম হিসেবে রয়েছে গুগল আলফাবেট, সেভাবেই নাম বদলাল ফেসবুক।