শুধুমাত্র স্ত্রী মশা মানে মশকী মানুষ বা যেকোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত পান করে। তবে বেঁচে থাকার জন্য না। অর্থাৎ মশার খাদ্য রক্ত নয়! তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন আসবে মশা রক্ত পান করে কেন? এর উত্তর হলো -
মশার নিষেক, ডিম তৈরী ইত্যাদি বংশগতিয় কার্যক্রম করার জন্য মশার শক্তির প্রয়োজন হয়। এই শক্তি মশা স্তন্যপায়ী প্রানীর রক্ত থেকে সংগ্রহ করে। আর স্ত্রী মশার গর্ভাশয়ের পরিবেশ ঠিক রাখতেও তাজা রক্তের প্রয়োজন পড়ে। মা মশাদের পেটে যখন ডিম থাকে, তখন সেই ডিমগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রাণীদের তাজা রক্ত লাগে। এই রক্ত ঠিকমতো সরবরাহ করতে না পারলে ডিমগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এজন্যই তাই মা মশারা বাধ্য হয়েই প্রাণীদের তাজা তাজা রক্ত ওদের সিরিঞ্জের মতো হুল দিয়ে সরাসরি ডিমের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
কিন্তু মশা তাহলে রক্ত কেন খায়? কারণ ডিম নিষেকের থ্রিওনিন নামক অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রয়োজন পড়ে, এগুলো একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণীর তাজা রক্তে পাওয়া যায়। এগুলো নিউট্রিয়েন্ট সোর্স হিসেবেও কাজ কর। সবসময় চাইলেই তাজা রক্ত পাওয়া যায় না। তাই এককামড়ে মশা চেষ্টা করে সর্বোচ্চ পরিমাণ রক্ত সংগ্রহ করে রাখতে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, মশারা তাহলে কী খায়?
মশারা সাধারণত ফুলের রেণু খেয়ে বেঁচে থাকে। ফুলের রেণুর সুক্রোজ তাদের প্রধান খাদ্য। কিছু মশা পঁচা জল থেকে খাদ্যরস গ্রহণ করে।