নাকের ভেতর আছে পাতলা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি। এদের থাকে শ্লেষ্মানিঃসরণ ঝিল্লি ও গবলেট নামের ছোট ছোট কোষ, যারা শ্লেষ্মার একটি উপাদান নিঃসরণ করে।
যখন ঠান্ডা বাতাস নাকে যায়, তখন নাকের স্নায়ুগুলো শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিকে উজ্জীবিত করে। এরা ঠান্ডা বাতাসের আবির্ভাবের খবর মস্তিষ্কে পাঠায়, আর সেখান থেকে সংকেত যায় আবার সেই ঝিল্লিগুলোতে। এরই ফলাফল হলো নাকে পানি বা তরল শ্লেষ্মা ঝরা।
এটা স্বয়ংক্রিয় প্রতিবর্তী (রিফ্লেক্স) ক্রিয়া। নাকের ভেতরের আবরণের উষ্ণতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি অবদান রাখে। ঠান্ডা বাতাস শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে অস্বস্তি সৃষ্টি করে বলে এ রকম হয়।
এভাবেও বলা যায় যে -
আমাদের মিউকাস মেম্ব্রেন যখন কোন জীবাণুর সন্ধান পায় তখন তা ধ্বংস করার জন্য পানি এবং মিউকাসের মিশ্রন তৈরি করে যা সর্দি হিসেবে আমাদের নাক দিয়ে পড়ে। এছাড়া আমাদের নাক যখন কোন এলার্জেনের সংস্পর্শে আসে তখনও অতিরিক্ত মিউকাস তৈরি করে। তাই আমাদের এলার্জি আছে এমন কিছুর সংস্পর্শে আসলে আমাদের নাক দিয়ে পানি পড়ে।
শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়াতেও আমাদের নাক দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। এরও খুব সুন্দর একটা ব্যাখা করা যায়। আমাদের ফুসফুসের টিস্যু খুবই সেন্সেটিভ। আমরা নাক দিয়ে যখন শ্বাস নেই তখন নাকের টিস্যু বাতাসটাকে ভিজিয়ে এবং গরম করে ভিতরে ফুস্ফুসে পাঠায়। কিন্তু শিতের সময় বাইরের বাতাস থান্ডা এবং শুষ্ক থাকে যার ফলে আমাদের নাকের টিস্যুগুলি অতিরিক্ত পানি উৎপন্ন করে ফলে একসময় তা জমে নাক দিয়ে বের হয়ে যায়।
এছাড়া শীতের সময় বাতাসে শিশির থাকে বা ছোট ছোট জমাত বাঁধা বাষ্পকনা থাকে যা নাকের ভিতরে গিয়ে গরম হয়ে পানি আকারে জমে আবার বের হয়ে আসে। তখন নাক দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে।