1. ব্যাংকে টাকা রেখে মুনাফা গ্রহণ সুদের অন্তর্ভূক্ত। যা সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই এভাবে টাকা রেখে মুনাফা গ্রহণ জায়েজ হবে না।তিনি তার প্রাপ্ত টাকা মুদারাবা বা মুশারাকা চুক্তির ভিত্তিতে কাউকে ব্যবসা করতে দিতে পারেন। যার লভ্যাংশ তিনি ব্যবহার করতে পারবেন।
2. না, এভাবে ওয়াকফ করা শরীয়তসম্মত নয়। কারণ, হারাম পদ্ধতিতে মুনাফা অর্জন যেমন জায়েজ নেই।তেমনি উক্ত পদ্ধতিকে কোন ভাল কাজের জন্য ওয়াকফ করাও জায়েজ নয়।
ﺍﻮُﻠُﻛْﺄَﺗ ﺎَﻟ ﺍﻮُﻨَﻣﺁ َﻦﻳِﺬَّﻟﺍ ﺎَﻬُّﻳَﺃ ﺎَﻳ ﺍﻮُﻘَّﺗﺍَﻭ ۖ ًﺔَﻔَﻋﺎَﻀُّﻣ ﺎًﻓﺎَﻌْﺿَﺃ ﺎَﺑِّﺮﻟﺍ َﻥﻮُﺤِﻠْﻔُﺗ ْﻢُﻜَّﻠَﻌَﻟ َﻪَّﻠﻟﺍ
অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।
(সুরা আলে ইমরান-১৩০)
ﺎَﺑِّﺮﻟﺍ َﻡَّﺮَﺣَﻭ َﻊْﻴَﺒْﻟﺍ ُﻪَّ ﻟﺍ َّﻞَﺣَﺃَﻭ
অনুবাদ: আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন, আর সুদকে করেছেন হারাম। (সূরা
বাকারা-২৭৫)
ﻰَّﻠَﺻ ِﻪَّﻠﻟﺍ ُﻝﻮُﺳَﺭ َﻝﺎَﻗ :ُﻝﻮُﻘَﻳ ﺎًّﻴِﻠَﻋ :َﻢَّﻠَﺳَﻭ ِﻪْﻴَﻠَﻋ ُﻪﻠﻟﺍ»َّﺮَﺟ ٍﺽْﺮَﻗ ُّﻞُﻛ ﺎًﺑِﺭ َﻮُﻬَﻓ ًﺔَﻌَﻔْﻨَﻣ
হযরত আলী রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি ঋণ যে উপকারীতা সৃষ্টি করে, তা’ই সুদ।
:َﻢَّﻠَﺳَﻭ ِﻪْﻴَﻠَﻋ ُﻪﻠﻟﺍ ﻰَّﻠَﺻ ِﻪَّﻠﻟﺍ »ْﻥَﺃ ﺎَﻫُﺮَﺴْﻳَﺃ ،ﺎًﺑﻮُﺣ َﻥﻮُﻌْﺒَﺳ ﺎَﺑِّﺮﻟﺍ ُﻪَّﻣُﺃ ُﻞُﺟَّﺮﻟﺍ َﺢِﻜْﻨَﻳ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সুদের গুনাহর সত্তরটি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মাকে বিবাহ(যেনা) করা।
ُﻝﻮُﺳَﺭ َﻦَﻌَﻟ َﻝﺎَﻗ ،ٍﺩﻮُﻌْﺴَﻣ ِﻦْﺑﺍ ِﻦَﻋ َﻞِﻛﺁ ﻢﻠﺳﻭ ﻪﻴﻠﻋ ﻪﻠﻟﺍ ﻰﻠﺻ ِﻪَّﻠﻟﺍ
ُﻪَﺒِﺗﺎَﻛَﻭ ِﻪْﻳَﺪِﻫﺎَﺷَﻭ ُﻪَﻠِﻛﻮُﻣَﻭ ﺎَﺑِّﺮﻟﺍ
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - সূদখোর, সূদ দাতা সূদের সাক্ষীদ্বয় ও সূদের (চুক্তি বা হিসাব) লেখককে অভিসম্পাত করেছেন।