মাযহাব হল ইসলামের চারটি প্রধান আইন শাস্ত্রের একটি। এটি একটি নির্দিষ্ট ইমামের (নেতার) দ্বারা প্রণীত বিধানাবলীর সমষ্টি। মাযহাব গ্রহণীয় এবং বর্জনীয় হওয়ার কারণগুলি নিম্নরূপ:
গ্রহণীয় কারণসমূহ:
-
মাযহাব ইসলামের বিধানাবলী বোঝার এবং সে অনুযায়ী আমল করার সহজ উপায়। মাযহাবগুলি ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত বিধানাবলী প্রদান করে, যা একজন সাধারণ মুসলমানের পক্ষে নিজে থেকে বুঝতে এবং আমল করতে কঠিন হতে পারে।
-
মাযহাব ইসলামের মধ্যে বিভেদ রোধ করে। বিভিন্ন মাযহাবের মধ্যে বিদ্যমান মতানৈক্যগুলি সাধারণত বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ। মাযহাব গ্রহণ করলে একজন মুসলমান নিজেকে একটি নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসারী হিসেবে ঘোষণা করে এবং সেই মাযহাবের বিধানাবলী অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি অন্যান্য মাযহাবের অনুসারীদের সাথে বিরোধ এড়াতে সাহায্য করে।
বর্জনীয় কারণসমূহ:
-
মাযহাবকে কখনও কখনও ইসলামের বিধানাবলীর একমাত্র উৎস হিসেবে দেখা হয়। এটি একটি ভুল ধারণা। ইসলামের বিধানাবলীর সর্বোচ্চ উৎস হল কুরআন এবং সুন্নাহ। মাযহাবগুলি কুরআন এবং সুন্নাহর ব্যাখ্যামাত্র।
-
মাযহাবকে কখনও কখনও আনুগত্য হিসেবে দেখা হয়। এটিও একটি ভুল ধারণা। মাযহাবগুলিকে মান্য করা উচিত, তবে সেগুলিকে অন্ধভাবে অনুসরণ করা উচিত নয়। একজন মুসলমানের উচিত সর্বদা কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে মাযহাবগুলির বিধানাবলী পর্যালোচনা করা।
উপসংহারে বলা যায়, মাযহাব গ্রহণযোগ্য, তবে এটিকে কুরআন এবং সুন্নাহর উপর প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়। একজন মুসলমানের উচিত সর্বদা নিজের চিন্তাভাবনা এবং বিবেচনাকে কাজে লাগিয়ে মাযহাবগুলির বিধানাবলী অনুসরণ করা।
বাংলাদেশে মাযহাব গ্রহণের প্রবণতা খুবই বেশি। বেশিরভাগ মুসলমানই কোন না কোন মাযহাবের অনুসারী। তবে, সম্প্রতি মাযহাবনিরপেক্ষতার দিকেও একটি প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেক মুসলমানই কুরআন এবং সুন্নাহর উপর ভিত্তি করে ইসলাম অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন।