আমিষের পরিচয় অ্যামিনো এসিড দিয়ে করা হয় কারণ অ্যামিনো এসিড হল আমিষের গঠনগত একক। আমিষ হল জৈব অণু যা একাধিক অ্যামিনো অ্যাসিডের পলিমার। অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন পরমাণু দিয়ে তৈরি। তারা একটি কার্বন পরমাণু দিয়ে শুরু হয় যার সাথে একটি অ্যামিনো গ্রুপ (NH2) এবং একটি কারবক্সিল গ্রুপ (COOH) যুক্ত থাকে। কার্বন পরমাণুর সাথে আরও একটি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি R গ্রুপ যুক্ত থাকে, যা অ্যামিনো অ্যাসিডের বিভিন্নতা নির্ধারণ করে।
আমিষের পরিচয় অ্যামিনো এসিড দিয়ে করা হয় কারণ অ্যামিনো এসিডগুলি আমিষের বৈশিষ্ট্যগুলি নির্ধারণ করে। অ্যামিনো অ্যাসিডের ধরন এবং সংখ্যা আমিষের কাঠামো, কার্যকারিতা এবং শারীরবৃত্তীয় ভূমিকা নির্ধারণ করে। উদাহরণস্বরূপ, গ্লুটামাইন এবং অ্যাস্পারটিক অ্যাসিড হল অ্যামিনো অ্যাসিড যা প্রোটিনগুলিকে ভাঁজতে সহায়তা করে। লাইসিন এবং মিথিওনিন হল অ্যামিনো অ্যাসিড যা প্রোটিনগুলির কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আমিষের পরিচয় অ্যামিনো এসিড দিয়ে করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি সাধারণ পদ্ধতি হল রাসায়নিক বিশ্লেষণ। এই পদ্ধতিতে, আমিষকে বিভক্ত করা হয় এর অ্যামিনো অ্যাসিডগুলিতে। অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি পরিমাণগতভাবে নির্ধারণ করা হয় এবং তাদের অনুপাতে বিশ্লেষণ করা হয়।
অন্য একটি পদ্ধতি হল জৈব রাসায়নিক বিশ্লেষণ। এই পদ্ধতিতে, আমিষের অ্যামিনো অ্যাসিডগুলির কাঠামো নির্ধারণ করা হয়। এটি সাধারণত রাসায়নিক বিশ্লেষণের পরে করা হয়।
আমিষের পরিচয় অ্যামিনো এসিড দিয়ে করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। এটি আমিষগুলির বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা বোঝার জন্য প্রয়োজনীয়।