ব্যাংকের সুদ উসূল করে নিবে। যেহেতু না উঠালে তারা এ দিয়ে আরো সুদের কারবার করবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/২৬৯, কিফায়াতুল মুফতী-৭/১০৫}
হারাম মাল যদি মূল মালিকের কাছে ফেরত না দেয়া যায় কোন কারণে তাহলে সে হারাম মাল মসজিদে ব্যয় করা যাবে না এ ব্যাপারে কোন মতান্তর নেই। সকল ফুক্বাহায়ে কিরাম ঐক্যমত্ব পোষণ করেছেন।
কিন্তু মাদরাসা বা অন্য কোন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যাবে কি না? এ ব্যাপারে মতান্তর রয়েছে।
একদল বিজ্ঞ ফক্বীহদের মতে হারাম মাল যদি মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া না যায়, তাহলে তা শুধু গরীবদেরই দান করা যাবে। অন্য কোন সামাজিক বা ব্যক্তিমালিকানা সাব্যস্ত হয়না এমন কোন কাজে ব্যয় করা যাবে না। {ইমদাদুল মুফতীন-৫৪৫} সে হিসেবে মাদরাসাতেও ব্যয় করা যাবে না। অন্য কোন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ যাতে ব্যক্তি মালিকানা নেই তাতেও ব্যয় করা যাবে না।
কিন্তু আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর বক্তব্য এবং যফর আহমাদ উসমানী রহঃ এর বক্তব্য, এবং মুফতী কিফায়াতুল্লাহ রহঃ এর ফাতওয়া, সেই সাথে পাকিস্তানের দারুল উলুম করাচীর প্রধান মুফতী মুফতী রফী উসমানী দাঃ বাঃ এবং মুফতী তাক্বী উসমানী দাঃ বাঃ এবং মুফতী ইমরান আশরাফ উসমানী দাঃ বাঃ এর ফাতওয়া হল-এসব সম্পদ দান করার জন্য মালিকানা সাব্যস্ত হয় এমন শর্ত জরুরী নয়। তাই মাদরাসায় এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও তা ব্যয় করা যাবে।
ওনাদের দলিল হল-ফিক্বহী কিতাবে হারাম মালকে ওয়াজিবুত তাসাদ্দুক তথা দান করা আবশ্যক বলা হয়েছে। কোথাও ওয়াজিবুত তামাল্লুক তথা মালিকানা বানিয়ে দেয়া আবশ্যক বলা হয়নি। দান করা আবশ্যকতার বক্তব্য দ্বারা অনেকের ধারণায় সেটি মালিকানাও সাব্যস্ত করে দিতে হবে বলে অনেকের মনে এ সন্দেহ হয়েছে। মূলত এ ধারণার পক্ষে শক্তিশালী কোন দলিল নেই। তাই হারাম মাল মূল মালিকের কাছে ফেরত দিতে না পারলে তা মাদরাসায় ব্যয় করা বা অন্য কোন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতে কোন সমস্যা নেই বলেই প্রতিয়মান হয়।