প্রাচীন এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ কোনটি তা নির্ধারণ করা একটি কঠিন কাজ, কারণ বিভিন্ন কাল ও স্থানে বিভিন্ন বিদ্যাপীঠের নিজস্ব গুরুত্ব ও অবদান ছিল। তবে, নিম্নলিখিত বিদ্যাপীঠগুলিকে প্রাচীন এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে:
-
চীনে, প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠগুলির মধ্যে রয়েছে "সুন ইয়ুয়ান" (পন্ডিতদের বাগান) এবং "ইয়ুয়ানজি" (ইয়ুয়ান সম্প্রদায়)। এই বিদ্যাপীঠগুলি চীনা সংস্কৃতি ও দর্শনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
-
ভারতে, প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠগুলির মধ্যে রয়েছে "নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়", "তাক্সিলা বিশ্ববিদ্যালয়" এবং "বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়"। এই বিদ্যাপীঠগুলি বৌদ্ধ শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত ছিল।
-
ইরানে, প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠগুলির মধ্যে রয়েছে "মাদরাসাতুল হিন্দ" এবং "মাদরাসাতুল আহমাদিয়া"। এই বিদ্যাপীঠগুলি ইসলামি শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত ছিল।
এই বিদ্যাপীঠগুলির মধ্যে "নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়"কে প্রাচীন এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের বিহার রাজ্যের নালন্দায় অবস্থিত ছিল। এটি খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দী থেকে ১৩শ শতাব্দী পর্যন্ত টিকে ছিল। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ শিক্ষার একটি বিশ্বব্যাপী কেন্দ্র ছিল। এখানে শিক্ষার্থীরা ভারত, চীন, জাপান, তিব্বত, ইরান, আরব বিশ্ব এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসত। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, চিকিৎসাশাস্ত্র এবং অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হতো।
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানগুলি ছিল ব্যাপক। এটি বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিস্তারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব আজও অনুভূত হয়।