"যখন আল্লাহ্ তা'য়ালা কোনো বান্দাকে স্বীয় অধীনস্থদের শাসক নিযুক্ত করেন, তখন তার শুধু পূণ্যই লিপিবদ্ধ করেন, তার পাপ সমূহ লিপিবদ্ধ করেন না। "
এই হাদীসটি সঠিক নয়। এটি একটি জাল হাদীস।
একদা ইমাম যুহরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি খলিফা ওয়ালীদ ইবনে আব্দুল মালিকের নিকট গমন করলেন। তখন খলিফা তাঁকে বললেন, এটা কী ধরনের হাদীস যা শামবাসীরা আমাদের কাছে বর্ণনা করে? ইমাম যুহরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আমীরুল মু'মিনীন! সেটা কী? ওয়ালীদ বললেন, শামবাসীরা বর্ণনা করে যে -
"যখন আল্লাহ তা'আলা কোনো বান্দাকে স্বীয় অধীনস্থদের শাসক নিযুক্ত করেন, তখন তার শুধু পুণ্যই লিপিবদ্ধ করেন, তার পাপসমূহ লিপিবদ্ধ করেন না।"
ইমাম যুহরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন! এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আচ্ছা বলুন তো! যে ব্যক্তি নবী এবং খলিফা দু'টোই হন তিনি আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত নাকি ঐ ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি শুধু খলিফা, নবী নন? খলীফা ওয়ালীদ বললেন, যিনি খলিফা এবং নবী দু'টোই তিনি আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। ইমাম যুহরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বললেন, যখন এটাই স্বতঃসিদ্ধ তাহলে লক্ষ্য করে দেখুন আল্লাহ তা'আলা তাঁর নবী হজরত দাউদ আলাইহিস সালামকে সম্বোধন করে বলেন -
“হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে খলিফা বানিয়েছি, তাই তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়-ইনসাফের সাথে ফয়সালা করবে এবং নফসের কুমন্ত্রণার অনুসরণ করবে না । (যদি এমন করো) তাহলে সে তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করে দিবে। যারাই আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী হবে তাদের জন্য রয়েছে ভীষণ শাস্তি। কেননা, তারা পরকালকে ভুলে গেছে।”
সুতরাং হে আমীরুল মুমিনীন! যিনি নবী এবং খলীফা (উভয়টা হওয়া সত্ত্বেও) তার জন্য এই সাবধান বাণী! তাহলে ঐ ব্যক্তির সম্পর্কে আপনার কী বক্তব্য যিনি শুধু খলিফা, কিন্তু নবী নন? ওয়ালীদ বললেন, (আপনার কথাই সঠিক,) লোকেরা আমাদেরকে আমাদের দ্বীন সম্পর্কে প্রতারিত করছে।
সূত্রঃ- নফহাতুল আরব।