নিউক্লিয়াসের বিভাজন প্রধানত দুই প্রক্রিয়ায় হয়। যথা:
অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াসটি সরাসরি দু ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এ প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াসটি প্রথমে লম্বা হয়ে মাঝখানে ভাগ হয়ে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। পরে কোষটির মধ্যভাগে একটি চক্রাকার গর্ত ভেতরের দিকে ঢুকে গিয়ে পরিশেষে দু ভাগে ভাগ করে ফেলে।
মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াসটি দুবার বিভাজিত হয়। প্রথম বিভাজনে ক্রোমোজোমগুলি জোড়ায় জোড়ায় যুক্ত হয়ে বাইভ্যালেন্ট তৈরি করে। দ্বিতীয় বিভাজনে প্রতিটি বাইভ্যালেন্ট দুটি আলাদা ক্রোমোজোমে বিভক্ত হয়ে যায়। ফলে মাতৃকোষ থেকে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয়।
অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়াটি সাধারণত এককোষী জীবে দেখা যায়। এ প্রক্রিয়াটি খুবই দ্রুত এবং সহজ। মিয়োসিস প্রক্রিয়াটি সাধারণত প্রকৃতকোষে দেখা যায়। এ প্রক্রিয়াটি জননকোষ সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য।
নিউক্লিয়াসের বিভাজনের গুরুত্ব
-
কোষ বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য নিউক্লিয়াসের বিভাজন অপরিহার্য।
-
জননকোষ সৃষ্টির জন্য নিউক্লিয়াসের বিভাজন অপরিহার্য।
-
বংশগতি বৈশিষ্ট্যের সংরক্ষণ ও বহুলির জন্য নিউক্লিয়াসের বিভাজন অপরিহার্য।