শক্তির অপচয়ের ধারণা দেন স্কটিশ পদার্থবিদ এবং প্রকৌশলী লর্ড কেলভিন (১৮২৪-১৯০৭)। তিনি দ্বিতীয় তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্রের প্রস্তাব করেছিলেন, যা শক্তির অপচয়কে রূপ দিয়েছে। দ্বিতীয় তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র অনুসারে, একটি চক্রের মধ্যে একটি সিস্টেম থেকে তাপকে কাজে রূপান্তর করার সময়, কিছু পরিমাণ তাপ অপচয় হবে। এই তাপ অপচয়কে "শক্তির অপচয়" বলা হয়।
লর্ড কেলভিনের আগে, বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন যে শক্তির অপচয় নেই। তারা ধারণা করতেন যে শক্তিকে এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তর করা যেতে পারে, কিন্তু শক্তির মোট পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকবে। লর্ড কেলভিনের কাজ এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তিনি দেখিয়েছিলেন যে শক্তির রূপান্তরের সময়, কিছু শক্তি অপচয় হয়। এই অপচয় শক্তি তাপের আকারে নির্গত হয়।
লর্ড কেলভিনের দ্বিতীয় তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্রের প্রস্তাব শক্তির অপচয়ের ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই ধারণাটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ, যখন আমরা একটি গাড়ি চালাই, তখন কিছু শক্তি ইঞ্জিন থেকে চাকার দিকে স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু এই শক্তির পুরোটাই কাজে রূপান্তরিত হয় না। কিছু শক্তি তাপের আকারে অপচয় হয়। এই তাপ অপচয়ের কারণে গাড়ি গরম হয়ে যায়।
শক্তির অপচয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই অপচয়ের কারণে আমাদের পরিবেশের ক্ষতি হয়। এছাড়াও, এই অপচয়ের কারণে আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। শক্তির অপচয় কমাতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, আমরা দক্ষ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারি, আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারি এবং আমরা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করতে পারি।