১/ তিনি আল্লাহ তা'য়ালার বান্দা, একজন মানুষ এবং আল্লাহর রাসূল ছিলেন।
২/ আল্লাহ তাআলার পর তিনি সমস্ত সৃষ্টি অপেক্ষা উত্তম।
৩/ তিনি যাবতীয় গুনাহ থেকে নিষ্পাপ।
৪/ তাঁর প্রতি আল্লাহ তা'য়ালা কুরআন মাজীদ নাযিল করেছেন।
৫/ আল্লাহ তা'য়ালা তাঁকে মি'রাজের রাতে আকাশে ডেকে নেন এবং জান্নাত দোজখ প্রভৃতির ভ্রমণ করান।
৬/ তিনি আল্লাহ তা'য়ালার হুকুমে বহু মু'জিযাই প্রদর্শন করেছেন।
৭/ তিনি আল্লাহ তা'য়ালার অনেক বেশি ইবাদত বন্দেগী করতেন।
৮/ তাঁর চরিত্র অভ্যাস অত্যন্ত উঁচু পর্যায়ের ছিল।
৯/ তাঁকে আল্লাহ তা'য়ালা বহুবিধ অতীত ও ভবিষ্যৎ জ্ঞান দান করেছিলেন। সেগুলো তিনি তাঁর উম্মতকে অবহিত করেছেন।
১০/ তাঁকে আল্লাহ তা'য়ালা সমস্ত সৃষ্টি অপেক্ষা অধিক জ্ঞান দান করেছিলেন। তাই বলে তিনি "আ'লিমুল গায়েব" তথা অদৃশ্যের বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন না। কেননা "আ'লিমুল গায়েব" হওয়া একমাত্র আলাহ্ তা'য়ালার শান এবং তাঁরই বিশেষ গুণ।
১১/ তিনি সর্বশেষ নবী ছিলেন। তাঁর পরে আর কোন নতুন নবী হবে না। হ্যাঁ, শুধু হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম, যিনি পূর্বকালের একজন নবী, তিনি আকাশ থেকে নেমে আসবেন এবং ইসলামী শরীয়তের তথা হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীয়তের অনুসরণ করবেন।
১২/ তিনি মানুষ ও জিন সবার জন্যই নবী ও রাসূল।
১৩/ তিনি কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'য়ালার অনুমতিতে গুনাহগারদের জন্য সুপারিশ করবেন। সে জন্যই হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে "শাফিউল মুযনিবীন" বলা হয়। আল্লাহ তা'য়ালা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ কবুলও করবেন।
১৪/ তিনি যেসব বিষয়ের হুকুম করেছেন সেগুলোর উপর আমল করা, যেসব বিষয় নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাকা এবং যেসব ঘটনাবলী সম্পর্কে তিনি সংবাদ দিয়েছেন সেগুলোকে ঠিক তেমনিভাবে মেনে নেওয়া ও বিশ্বাস করা উম্মতের উপর জরুরী।
১৫/ তাঁর প্রতি সর্বাধিক ভালোবাসা পোষণ করা এবং তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা প্রত্যেক উম্মতের উপর অবশ্য কর্তব্য। কিন্তু সম্মান দ্বারা সে সম্মানকেই বুঝাবে, যা শরীয়ত নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী হবে। শরীয়ত পরিপন্থী বিষয়কে সম্মান কিংবা ভালোবাসা মনে করা বোকামি।