যে সকল পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে স্থাপন করলে চৌম্বকায়নকারী ক্ষেত্রের দিকে শক্তিশালী চুম্বকত্ব লাভ করে তাদেরকে ফেরোচৌম্বকীয় পদার্থ বলে। খুব কম পদার্থই ফেরোচৌম্বকীয়। লোহা, নিকেল, কোবাল্ট, এদের সঙ্কর ধাতু এবং বিরল মৃত্তিকা ধাতু হলো ফেরোচৌম্বকীয় পদার্থের উদাহরণ।
ফেরোচৌম্বক পদার্থের চৌম্বকত্বের কারণ হলো এদের অণুতে বিদ্যমান মুক্ত ইলেকট্রন। এই ইলেকট্রনগুলোর চৌম্বক মুহূর্তগুলো পরস্পরের সাথে সমান্তরালভাবে সাজানো থাকে, যার ফলে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়।
ফেরোচৌম্বক পদার্থের চৌম্বকত্বের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
-
ফেরোচৌম্বক পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে স্থাপন করলে দ্রুত এবং সহজে চুম্বকায়িত হয়।
-
ফেরোচৌম্বক পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে থেকে সরিয়ে নিলে চুম্বকত্ব ধরে রাখে।
-
ফেরোচৌম্বক পদার্থের চৌম্বকত্ব তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ফেরোচৌম্বক পদার্থের চৌম্বকত্ব হ্রাস পায়।
ফেরোচৌম্বক পদার্থের ব্যবহার:
-
স্থায়ী চুম্বক তৈরিতে
-
বৈদ্যুতিক মোটর, জেনারেটর, ট্রান্সফরমার ইত্যাদি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে
-
রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার ইত্যাদি ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে
-
চুম্বকীয় মেমরি ডিভাইস তৈরিতে
ফেরোচৌম্বক পদার্থের কিছু উদাহরণ হলো:
-
লোহা
-
নিকেল
-
কোবাল্ট
-
স্টিল
-
ম্যাগনেটাইট
-
ফেরিট
-
রিকেক
ফেরোচৌম্বক পদার্থের চৌম্বকত্বের প্রয়োগ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়।