গ্যাসের ব্যাপন হলো একই তাপমাত্রা ও চাপে ঘনত্বের পার্থক্যের কারণে গ্যাসের অণুগুলোর স্বতঃস্ফূর্ত গতনের ফলে তাদের বিস্তার। গ্যাসের অণুগুলো সর্বদা গতিশীল থাকে এবং তারা সর্বদা উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহের ফলে গ্যাসের অণুগুলো সমগ্র স্থানে সমানভাবে বিস্তৃত হয়।
গ্যাসের ব্যাপনের হার নির্ভর করে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর:
-
তাপমাত্রা: তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্যাসের অণুগুলোর গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, ফলে ব্যাপনের হার বৃদ্ধি পায়।
-
ঘনত্ব: উচ্চ ঘনত্বের গ্যাসের ব্যাপনের হার নিম্ন ঘনত্বের গ্যাসের চেয়ে বেশি।
-
পদার্থের প্রকৃতি: কিছু পদার্থের অণুগুলো অন্য পদার্থের অণুগুলোর তুলনায় বেশি গতিশীল। ফলে এই পদার্থগুলোর ব্যাপনের হার বেশি হয়।
গ্যাসের ব্যাপনের কিছু উদাহরণ হলো:
-
সুগন্ধি বাতাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়া
-
ফুলের পাপড়ি থেকে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়া
-
অ্যারোসল স্প্রে থেকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়া
-
রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় গ্যাসের নিঃসরণ
গ্যাসের ব্যাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি প্রকৃতিতে এবং শিল্পে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, গ্যাসের ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বাতাসে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো গ্যাসগুলো সমগ্র বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। শিল্পে গ্যাসের ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করা হয়।