রাইজয়েড হল উদ্ভিদের একটি অঙ্গ যা মাটিতে বা জলে প্রবেশ করে স্থলভাগ থেকে বা পানির মধ্য থেকে পুষ্টি উপাদান ও জল সংগ্রহ করে। রাইজয়েড মূলের মতোই, তবে এটি মূলের চেয়ে অপেক্ষাকৃত সরল ও অক্ষম। রাইজয়েড সাধারণত নোডুলেট, অর্থাৎ এতে ছোট ছোট গোঁফের মতো অংশ থাকে। এই গোঁফগুলো মাটি বা জলের মধ্যে আটকে থাকে এবং রাইজয়েডকে স্থিতিশীল করে।
রাইজয়েড সাধারণত নিম্ন শ্রেণীর উদ্ভিদে দেখা যায়, যেমন মস, লিভারওয়ার্ট, ফার্ন, এবং কিছু ছত্রাক। এই উদ্ভিদগুলোতে মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড থাকে। রাইজয়েড উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি উদ্ভিদকে পুষ্টি উপাদান ও জল সরবরাহ করে, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।
রাইজয়েডের প্রধান কাজগুলি হল:
-
স্থলভাগ থেকে বা পানির মধ্য থেকে পুষ্টি উপাদান ও জল সংগ্রহ করা
-
উদ্ভিদকে মাটি বা জলের সাথে সংযুক্ত করা
-
উদ্ভিদের ভারসাম্য বজায় রাখা
রাইজয়েডের বিভিন্ন ধরনের শ্রেণীবিভাগ করা হয়। এর মধ্যে একটি শ্রেণীবিভাগ হল:
-
প্রাথমিক রাইজয়েড: এটি উদ্ভিদের বীজের ভ্রূণ থেকে সৃষ্টি হয়।
-
মাধ্যমিক রাইজয়েড: এটি উদ্ভিদের মূল থেকে সৃষ্টি হয়।
-
অতিরিক্ত রাইজয়েড: এটি উদ্ভিদের অন্যান্য অঙ্গ, যেমন পাতা বা কাণ্ড থেকে সৃষ্টি হয়।
রাইজয়েডের আরেকটি শ্রেণীবিভাগ হল:
-
অসুষ্মিত রাইজয়েড: এটিতে কোনো ছিদ্র থাকে না।
-
সুষ্মিত রাইজয়েড: এতে ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলোর মাধ্যমে রাইজয়েড পুষ্টি উপাদান ও জল শোষণ করে।
রাইজয়েড একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ অঙ্গ যা উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।