জীববিজ্ঞানের ভাষায়, দুটি ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আন্তঃপ্রজননের ফলে উদ্ভূত নতুন প্রজন্মকে ওই দুই প্রজাতির সংকর বলে। সংকর করার প্রক্রিয়াটিকে সংকরায়ন বলে। সংকর জীব তাদের নিজস্ব গুণাবলির অধিকারী হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে সংকরটি তার পিতামাতা থেকে ভিন্ন এবং উন্নত বৈশিষ্ট্যও দেখাতে পারে।
সংকর জীবের কিছু উদাহরণ হল:
-
হাইব্রিড গম
-
হাইব্রিড ভুট্টা
-
হাইব্রিড ধান
-
হাইব্রিড আম
-
হাইব্রিড লেবু
-
হাইব্রিড গোলাপ
-
হাইব্রিড মাছ
-
হাইব্রিড কুকুর
-
হাইব্রিড বিড়াল
সংকর জীবের কিছু সুবিধা হল:
-
উচ্চ ফলনশীলতা
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
-
লবণ সহিষ্ণুতা
-
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা
সংকর জীবের কিছু অসুবিধা হল:
-
প্রজননশীলতা কমে যেতে পারে
-
পিতামাতার বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যেতে পারে
সংকর জীবের প্রজননশীলতা কমে যাওয়ার কারণ হল, সংকর জীবের ক্রোমোজোম সেট তার পিতামাতার ক্রোমোজোম সেটের চেয়ে আলাদা হয়। এই পার্থক্য প্রজননের সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সংকর জীবের পিতামাতার বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাওয়ার কারণ হল, সংকর জীবের জিনগত বৈচিত্র্য বেশি হয়। এই বৈচিত্র্যের কারণে, সংকর জীব তার পিতামাতার কাছ থেকে সবচেয়ে ভাল বৈশিষ্ট্যগুলি উত্তরাধিকার সূত্রে পায় না।
সংকর জীবের ব্যবহার কৃষি, উদ্যানপালন, পশুপালন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে করা হয়। সংকর জীবের ব্যবহারের ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।