পাখি আকাশে উড়তে ডানার সাহায্যে বাতাসের উপর চাপ প্রয়োগ করে। যখন পাখি ডানাকে নিচের দিকে ঝাপ্টায়, তখন ডানার উপরের এবং নিচের তলে বাতাসের চাপের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। ডানার উপরের তলে বাতাসের চাপ কম থাকে এবং ডানার নিচের তলে বাতাসের চাপ বেশি থাকে। এর ফলে একটি উর্ধ্বমুখী বল সৃষ্টি হয়, যা পাখিকে উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করে।
ভেক্টর বিভাজনের মাধ্যমে এই ঘটনাটি ব্যাখ্যা করা যায়। যখন পাখি ডানাকে নিচের দিকে ঝাপ্টায়, তখন ডানায় প্রয়োগকৃত বলকে দুটি ভেক্টরে বিভক্ত করা যায়। একটি ভেক্টর হল উর্ধ্বমুখী বল, যা পাখিকে উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করে। অন্য ভেক্টরটি হল সামনের দিকে বল, যা পাখিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
পাখি উড়তে হলে উর্ধ্বমুখী বলের মান সামনের দিকে বলের মান থেকে বেশি হতে হবে। এজন্য পাখি ডানাকে এমনভাবে ঝাপ্টায় যাতে উর্ধ্বমুখী বলের মান বৃদ্ধি পায়। পাখির ডানার আকৃতি এবং ঝাপ্টানোর পদ্ধতি এই উর্ধ্বমুখী বলের মান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
পাখি উড়তে হলে ডানার উপর বাতাসের চাপের পার্থক্য সৃষ্টি করতে হয়। এজন্য পাখির ডানায় বিশেষ আকৃতি থাকে। ডানার উপরের তলটি নিচের তলের তুলনায় বেশি বাঁকা হয়। এর ফলে বাতাস ডানার উপরের তলে কম দূরত্ব অতিক্রম করে এবং নিচের তলে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে। এর ফলে ডানার উপরের তলে বাতাসের চাপ কম থাকে এবং নিচের তলে বাতাসের চাপ বেশি থাকে।
পাখি ডানা ঝাপ্টানোর সময় ডানার উপরে এবং নিচের তলের মধ্যবর্তী কোণ পরিবর্তন করে। এই কোণ পরিবর্তন করে পাখি উর্ধ্বমুখী বলের মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
পাখি উড়তে হলে শুধু ডানার সাহায্যে বাতাসের উপর চাপ প্রয়োগ করলেই হয় না। পাখির শরীরের গঠনও উড়তে সাহায্য করে। পাখির দেহ হালকা এবং শরীরের আকৃতি বায়ুপ্রবাহের সাথে সহজে মানিয়ে নিতে পারে। এছাড়াও, পাখির পালক বাতাসের প্রতিরোধ কমাতে সাহায্য করে।
ভেক্টর বিভাজনের মাধ্যমে পাখির উড্ডয়ন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা যায়। এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে পাখি কীভাবে ডানার সাহায্যে বাতাসের উপর চাপ প্রয়োগ করে এবং উড়তে পারে তা বোঝা যায়।