রাবার তৈরির জন্য প্রথমে রাবার গাছ থেকে কষ সংগ্রহ করতে হয়। রাবার গাছের কাণ্ডের ছালে কোনাকুনিভাবে কাটা কয়েক মিলিমিটার গভীর গর্ত থেকে কষ সংগ্রহ করা হয়। এই গর্তগুলিকে বলা হয় "চিপার"। চিপারগুলি সাধারণত দুই বছর বয়সী গাছ থেকে প্রথম কষ সংগ্রহ শুরু হয়। গাছপ্রতি বছরে গড়পড়তা উৎপাদন প্রায় দুই কিলোগ্রাম প্রাকৃতিক রাবার।
কষ সংগ্রহের পরে, এটি একটি চুলায় উত্তপ্ত করা হয় যাতে এটি জমাট বাঁধতে পারে। জমাট বাঁধা রাবারকে বলা হয় "কাঁচা রাবার"। কাঁচা রাবারকে তারপর বিভিন্ন আকৃতিতে ঢালাই করা হয় বা পাউডারে পরিণত করা হয়।
কাঁচা রাবারকে শক্ত করার জন্য, এটিকে বায়ু বা তাপে শুকানো হয়। বায়ু শুকানোর প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় "ডায়িং"। ডায়িংয়ের পরে,রাবারকে "হার্ড রাবার" বলা হয়।
হার্ড রাবারকে আরও বেশি শক্তিশালী এবং টেকসই করার জন্য, এটিকে বিভিন্ন রাসায়নিকের সাথে চিকিত্সা করা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় "ভ্যালকানাইজেশন"। ভ্যালকানাইজেশনের পরে, রাবারকে "ভ্যালকানাইজড রাবার" বলা হয়।
ভ্যালকানাইজড রাবার বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, যেমন:
-
জুতা
-
গাড়ির টায়ার
-
কনডম
-
খেলনা
-
বৈদ্যুতিক তার
-
রাসায়নিক ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতি
রাবার উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প, যা বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
রাবারের বিভিন্ন ধরণের রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
প্রাকৃতিক রাবার: এটি রাবার গাছ থেকে প্রাপ্ত কষ থেকে তৈরি হয়।
-
সিনথেটিক রাবার: এটি রাসায়নিক উপকরণ থেকে তৈরি হয়।
প্রাকৃতিক রাবার সিনথেটিক রাবারের চেয়ে বেশি প্রতিরোধী এবং টেকসই। তবে, সিনথেটিক রাবার প্রাকৃতিক রাবারের চেয়ে সস্তা।